চাকরি হারানোর ভয়ে ভীত সরকারি কর্মীরা! ভবিষ্যৎ কী?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা, কাজ হারানোর শঙ্কা। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে কাজ হারানোর এক গভীর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বাজেট কাটছাঁট এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের কারণে অনেক কর্মী চাকরি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। কর্মপরিবেশে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা, সেই সাথে বাড়ছে অনিশ্চয়তা।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই পরিস্থিতিতে যারা এখনো কাজ করছেন, তাদের উপর বাড়ছে কাজের চাপ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA)-এর প্রায় ২০ শতাংশ কর্মী, যা প্রায় ১০০০ জন, স্বেচ্ছায় তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (IRS)-এর প্রায় ২২,০০০ কর্মী, যা তাদের মোট জনশক্তির প্রায় ২৫ শতাংশ, তারাও কর্তৃপক্ষের দেওয়া সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে চাকরি ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন।

পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (EPA) তাদের কর্মীদের জন্য একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে তারা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন পাওয়ার সুযোগ রেখে চাকরি ছাড়তে পারবে।

যেসব কর্মীরা এখনো কাজ করছেন, তাদের ভবিষ্যৎ এখন সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। একটি সুরক্ষিত চাকরি যেকোনো মুহূর্তে হারানোর শঙ্কা তাদের তাড়া করছে।

অনেক সরকারি কর্মচারী জানিয়েছেন, এখন অফিসে এক ধরনের ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কর্মীদের কাজের সময়সূচী এবং তাদের গতিবিধির উপর কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

এমনকি, সহকর্মীদের সঙ্গে স্বাভাবিক আলোচনা এবং অবসরকালীন অনুষ্ঠানও এখন সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। শিকাগোর EPA-এর কর্মী শ্যানন ওয়ালশ বলেছেন, কর্মীদের উপস্থিতি নিরীক্ষণের জন্য তাদের আইডি কার্ড ব্যবহারের ডেটা ট্র্যাক করা হচ্ছে, যা কর্মীদের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছে।

কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করছেন। কর্মীদের মধ্যে অনেকেই তাদের চাকরি টিকিয়ে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তারা বলছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের বাধ্য করা হচ্ছে, তারা চাকরি ছাড়বেন না। এই পরিস্থিতিতে, কর্মীদের মধ্যে কাজের চাপ বাড়ছে, সেই সাথে তাদের মধ্যে হতাশা এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে।

অনেক কর্মী মনে করেন, তারা এখন আগের মতো রোগীদের প্রতি মনোযোগ দিতে পারছেন না, যার ফলে স্বাস্থ্যসেবার মান কমছে।

কর্মীদের এমন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হচ্ছে, যেখানে তাদের সুযোগ-সুবিধা কমানো হচ্ছে এবং একই সাথে কাজের চাপ বাড়ছে। কর্মীদের মধ্যে অনেকেই এই পরিস্থিতিতে হতাশ এবং উদ্বিগ্ন।

তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। ফেডারেল সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে সরকারি পরিষেবাগুলিতেও প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *