মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্গুসনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মাইকেল ব্রাউনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডোরিয়ান জনসনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় রোববার সকালে, ব্রাউনের মৃত্যুর স্থান থেকে এক মাইলেরও কম দূরে জনসনকে গুলি করা হয়।
এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে এবং তদন্ত চলছে।
২০১৪ সালের ৯ আগস্ট, মিসৌরির ফার্গুসনে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসনের গুলিতে নিহত হন ১৮ বছর বয়সী মাইকেল ব্রাউন। ঘটনার সময় ব্রাউনের সঙ্গে ছিলেন ডোরিয়ান জনসন।
ব্রাউনের মৃত্যুর পর জনসনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই যুক্তরাষ্ট্রে ‘হাত তোলো, গুলি কোরো না’ স্লোগানটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে, যা পুলিশের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে ওঠে।
জনসনের বর্ণনায় জানা যায়, পুলিশ অফিসার উইলসনের সঙ্গে ব্রাউনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ব্রাউনের হাতে গুলি লাগে। এরপর ব্রাউন ও জনসন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রাউনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। যদিও ব্রাউনের ঘটনার সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।
সরকারি তদন্তে জানা যায়, ঘটনার সময় ব্রাউনের হাত কেমন ছিল, সে বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেছেন।
ফার্গুসনের পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, জনসনকে কোনো পুলিশ অফিসার গুলি করেননি। বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “প্রাথমিকভাবে এমন খবর পাওয়া গেলেও, এটি সঠিক নয়।
এই ঘটনায় ফার্গুসন অথবা অন্য কোনো এলাকার কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত ছিলেন না।”
মাইকেল ব্রাউনের মৃত্যুর দশ বছর পরও এই ঘটনা নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া চলমান। ব্রাউনের পরিবারের সদস্যরা এখনও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ব্রাউনের মৃত্যুর পর, ফার্গুসন পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে এবং বিভাগটিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
বর্তমানে পুলিশ বিভাগে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিনিধিত্ব প্রায় ৫০ শতাংশ, যেখানে ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল খুবই কম।
কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের আচরণবিধি সম্পর্কেও নতুন করে নিয়ম তৈরি করা হয়েছে।
ডোরিয়ান জনসনের মৃত্যু, ব্রাউন হত্যা মামলার তদন্তকে নতুন করে আলোয় এনেছে। পুলিশ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন