খরচ বাড়ছে উৎসবের মরসুমে, কিভাবে সামাল দেন আপনি?
আমাদের দেশে উৎসব-অনুষ্ঠান আর আনন্দ-উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। ঈদ, পূজা কিংবা পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবগুলো বাঙালির সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এইসব উৎসবে মানুষের মনে আনন্দের ঢেউ লাগে, যা সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় করে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই উৎসবগুলোর খরচও বাড়ছে, যা অনেক পরিবারের জন্য একটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঈদ কিংবা পূজার সময়ে পোশাক, ভালো খাবার, আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করা, এমনকি বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা – এইসব কিছুই এখন বেশ ব্যয়বহুল। সিনেমার টিকিট থেকে শুরু করে কনসার্ট কিংবা বিভিন্ন মেলায় যাওয়া – সবকিছুর দামই এখন আকাশছোঁয়া।
উদাহরণস্বরূপ, ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক কিনতে গেলে ভালো মানের পোশাকের দাম কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে, বিভিন্ন কনসার্ট এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে টিকেটের দামও এখন বেশ চড়া।
এই অবস্থায়, অনেকে তাদের সীমিত আয়ের মধ্যে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। অনেকেই মাসের শুরুতেই উৎসবের জন্য আলাদা করে টাকা জমাতে শুরু করেন, যাতে উৎসবের সময়ে কোনো সমস্যা না হয়।
আবার, অনেকে বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার করে উৎসবের খরচ মেটান। কেউ কেউ আবার পুরোনো পোশাক ব্যবহার করেন অথবা কম দামের বাজার থেকে কেনাকাটা করেন।
তবে, এমনও অনেক পরিবার আছে যাদের পক্ষে এত খরচ করা সম্ভব হয় না। তারা হয়তো উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন, অথবা সীমিত আকারে উদযাপন করেন।
এমন পরিস্থিতিতে, উৎসবের গুরুত্ব এবং আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উৎসবের খরচ সামাল দিতে হলে আগে থেকে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো, বাজেট তৈরি করা এবং সঞ্চয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
এছাড়াও, সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে উৎসবের খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ আনন্দের সাথে উৎসবে যোগ দিতে পারে।
আপনারা কিভাবে উৎসবের খরচ সামাল দেন? আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: The Guardian