সাডি সিঙ্কের অভিনয়: ফিনা স্ট্রাজ্জার চোখে এক নতুন দিগন্ত!

ব্রডওয়ের মঞ্চ কাঁপানো তরুণ অভিনেত্রী ফিনা স্ট্রাজ্জা। সম্প্রতি তিনি তাঁর প্রথম টনি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন। ‘জন প্রক্টর ইজ দ্য ভিলেন’ নাটকে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে এই স্বীকৃতি।

আর এই সাফল্যের পেছনে তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ তাঁর সহ-অভিনেত্রী সাডি সিঙ্কের প্রতি।

নিউ ইয়র্কের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ১৯ বছর বয়সী ফিনা জানান, ‘সাডিকে আমি কর্মক্ষেত্রে একজন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখি। তাঁর আত্মবিশ্বাস আমাকে মুগ্ধ করে।

আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি এবং তাঁর মতো একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে চাই।’

ফিনা আরও বলেন, ‘সাডির সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য খুবই আনন্দের। আমি সৌভাগ্যবান যে আমি তাঁকে চিনি।’

‘জন প্রক্টর ইজ দ্য ভিলেন’ নাটকে ফিনা এবং সাডি সপ্তাহে আটবার মঞ্চে একসঙ্গে কাজ করেন।

কিম্বার্লি বেলফ্লাওয়ার রচিত এবং ড্যানিয়া টায়মোর পরিচালিত এই নাটকটি ক্ষমতা, পিতৃতন্ত্র এবং আর্থার মিলারের ‘দ্য ক্রুসিবল’-এর ছায়া অবলম্বনে তৈরি হয়েছে।

ফিনা জানান, ‘এই নাটকের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং হৃদয়স্পর্শী একটি অভিজ্ঞতা।

আমি বিশ্বাস করতে পারি না যে আমাদের কাজটি এত মানুষের কাছে পৌঁছেছে।’

নাটকটি এরই মধ্যে দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।

ফিনা বলেন, ‘এটা যেন একটা আন্দোলন, যেখানে সবাই নিজেদের খুঁজে পায়।

মনে হয় আমরা এমন কিছু করছি, যা আমাদের চেয়েও অনেক বড়।’

নাটকের পরিবেশ নিয়েও কথা বলেন ফিনা।

তিনি জানান, পরিচালক ড্যানিয়া টায়মোর শুরু থেকেই একটি উষ্ণ এবং সহযোগী পরিবেশ তৈরি করেছিলেন।

রিহার্সালের শুরুতে তাঁরা সবাই মিলে যোগা করতেন এবং নিজেদের মধ্যে গল্প করতেন, যা তাঁদের বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে।

ফিনা আরও যোগ করেন, ‘মঞ্চে একসঙ্গে কাজ করার সময় এমন একটা জাদু তৈরি হয়, যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।

মনে হয় যেন আমি এই মানুষগুলোকে সারা জীবন ধরে চিনি, যদিও তাদের সঙ্গে আমার পরিচয় মাত্র কয়েক মাসের।’

‘জন প্রক্টর ইজ দ্য ভিলেন’-এ ফিনা বেথ নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে বন্ধুত্ব, নারী অধিকার এবং সমাজের কিছু অসঙ্গতি নিয়ে দ্বিধায় ভোগে।

নিজের চরিত্র নিয়ে ফিনা বলেন, ‘বেথের হৃদয়টা খুব সুন্দর।

তার মধ্যে অনেক আশা রয়েছে।

আশা শব্দটি শুনলেই আমার চোখে জল আসে।

সে সবসময় মানুষের ভালো দিকটা দেখতে চায় এবং অন্যদের কাছ থেকেও ভালো কিছু প্রত্যাশা করে।

আমার মনে হয়, এটাই সবচেয়ে সুন্দর।’

মাত্র আট বছর বয়সে ‘ম্যাটিলডা দ্য মিউজিক্যাল’-এর মাধ্যমে ব্রডওয়েতে অভিষেক হওয়া ফিনা, এখন পরিণত বয়সে এসে নতুন করে সবকিছু অনুভব করছেন।

তিনি বলেন, ‘আগে আমার অনেক বেশি শক্তি ছিল, কিন্তু এখন আমি কাজের গুরুত্বটা বুঝি।

এখন মনে হয় যেন সবকিছু নতুন করে শুরু করছি।

একটি চরিত্র তৈরি করা এবং সেই চরিত্রকে ধারণ করাটা আধ্যাত্মিকতার মতো।’

সবশেষে, নিজের প্রথম টনি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়নের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ফিনা বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মান।

আমি কখনো ভাবিনি এমন কিছু পাব।

আমি খুবই কৃতজ্ঞ।’

আসন্ন ২০২৫ টনি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আগামী ৮ই জুন নিউ ইয়র্কের রেডিও সিটি মিউজিক হলে অনুষ্ঠিত হবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *