আতঙ্ক! ফায়ার কর্মীদের উপর নৃশংস হামলা, নিহতদের স্মৃতিচারণ!

যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর চালানো হামলায় দুই জন দমকলকর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও একজন।

রবিবার কানফিল্ড পর্বতমালায় ঝোপঝাড়ে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে বন্দুকধারীর আক্রমণের শিকার হন তারা। জানা গেছে, হামলাকারী ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সেখানে ডেকে আনে এবং তাদের ওপর গুলি চালায়।

নিহত দুই দমকলকর্মীর মধ্যে ছিলেন কूटেনাই কাউন্টি ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ-এর প্রধান ফ্রাঙ্ক হারউড (৪২) এবং কুইর ডি’অ্যালিন ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ব্যাটালিয়ন চিফ জন মরিসন (৫২)। আহত দমকলকর্মী ডেভ টাইসডাল (৪৭) কুইর ডি’অ্যালিন ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে জীবন-মরণের সঙ্গে লড়ছেন।

ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারীও বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়েছে।

কোয়ের ডি’অ্যালিন ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান টম গ্রিফ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “আমরা এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা নিয়মিত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ নিই, কিন্তু বন্য পরিবেশে আগুন নেভাতে গিয়ে এমন হামলার শিকার হব, তা কল্পনাও করিনি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত হারউড ১৭ বছর এবং মরিসন ২৮ বছরের বেশি সময় ধরে ফায়ার সার্ভিসে কাজ করেছেন। তাদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল প্রায় ৭০ বছরের।

এই দুই বীর কর্মীর মৃত্যুতে কুইর ডি’অ্যালিন এলাকার মানুষ গভীরভাবে শোকাহত।

ফায়ার সার্ভিসের ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট গ্যাবে একার্ট এক সংবাদ সম্মেলনে মরিসনের সঙ্গে কাটানো শেষ মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি জানান, মরিসন ছিলেন একজন ভালো বাবা এবং ভালো নেতা।

তিনি বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ যে, তার সঙ্গে কাটানো শেষ স্মৃতি এত সুন্দর ছিল।

আহত ডেভ টাইসডাল-এর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তার পরিবার এক বিবৃতিতে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর ডেভ ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের ওপর এমন হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঝুঁকি এবং তাদের আত্মত্যাগের বিষয়টি আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *