প্রথম শ্রেণীর বিমানে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা! বন্ধুকে নিয়ে হতাশ নারী

বিমান ভ্রমণে প্রথম শ্রেণীর অভিজ্ঞতা: হতাশায় ভরা যাত্রা।

একজন নারী, মিশেল, তাঁর বন্ধুকে নিয়ে প্রথম শ্রেণীর ফ্লাইটে ভ্রমণের এক অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা থেকে ফ্লোরিডার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সময়, মিশেল ভেবেছিলেন যে তিনি তাঁর বন্ধুকে একটি বিশেষ উপহার দিতে যাচ্ছেন। বিমানের প্রথম শ্রেণীর টিকিটের জন্য তিনি বেশ ভালো অংকের টাকা খরচ করেছিলেন।

তাঁর ধারণা ছিল, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী হিসেবে তাঁরা আরামদায়ক পরিবেশে উন্নত মানের পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন।

কিন্তু বিধি বাম! উড়োজাহাজে উঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের সমস্ত উৎসাহ যেন হতাশায় পরিণত হলো। মিশেল জানান, বিমানের কর্মীরা ছিলেন রুক্ষ এবং অভদ্র। খাবারের মান ছিল খুবই খারাপ।

বিনোদনের জন্য যে পর্দা দেওয়া হয়েছিল, সেটি ছিল খুবই ছোট, সম্ভবত ৭ ইঞ্চি। সিটের ট্রে-টিও ছিল ভাঙা। সামান্য ঝাঁকুনিতে খাবার নিচে পড়ে যায়। মিশেল জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে বিমানের কর্মীদের জানালেও, কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।

শুধু তাই নয়, বিমানের শৌচাগারও ছিল অপরিষ্কার। যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই তিনি যখন বাথরুমে যান, তখন সেটির এই বেহাল দশা দেখে তিনি বিস্মিত হন। বিমানের এই ধরনের পরিষেবার মান দেখে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন।

তাঁর ভাষায়, এত বেশি অর্থ খরচ করার পরেও যদি এই ধরনের নিম্নমানের পরিষেবা পাওয়া যায়, তবে তা সত্যিই দুঃখজনক। মিশেল আরও জানান, তাঁর সংযোগকারী ফ্লাইটটিও একইরকম খারাপ অভিজ্ঞতার জন্ম দিয়েছিল।

বর্তমানে আকাশ পথে ভ্রমণের খরচ অনেক বেড়েছে, কিন্তু সেই তুলনায় সেবার মান কমে গেছে বলে অনেকে মনে করেন। এই ঘটনা যেন সেই ধারণাকেই সমর্থন করে।

উন্নত পরিষেবা এবং আরামের প্রতিশ্রুতি দিয়েও অনেক সময় যাত্রীদের হতাশ হতে হয়। তাই ভ্রমণের আগে, বিশেষ করে প্রথম শ্রেণীর টিকিট কাটার আগে, যাত্রী হিসেবে আমাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *