আকাশে বাচ্চার জন্ম! যাত্রাপথে জরুরি অবতরণ, হতবাক সবাই

আকাশপথে যাত্রা করার সময় এক গর্ভবতী নারীর প্রসব বেদনা উঠলে একটি বিমানকে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার, ৮ই মে, একটি রায়ানএয়ার (Ryanair) ফ্লাইটে, যা বেলজিয়াম থেকে স্পেনের দিকে যাচ্ছিল।

ফ্লাইট নম্বর ছিল ৪৭৯৭। বিমানটি গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই অপ্রত্যাশিতভাবে ফ্রান্সের লিমোজ (Limoges) বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

জানা গেছে, বিমানের ওড়ার প্রায় এক ঘণ্টা পরেই এক নারী প্রসব বেদনা অনুভব করেন। বিমানের কর্মীদের তৎপরতায় এবং জরুরি ব্যবস্থাপনায় ওই নারীর সফলভাবে একটি সন্তানের জন্ম হয়।

এরপর প্রায় ৯০ মিনিটের বিরতি শেষে বিমানটি পুনরায় স্পেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এবং সামান্য বিলম্বে কাস্তেলন (Castellón) বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

যদিও বিমানের মধ্যে সন্তান জন্ম দেওয়া একটি বিরল ঘটনা, তবে এমন ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে থাকে। বিমান সংস্থাগুলির নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট সময়ের পর বিমানযাত্রার অনুমতি মেলে না।

সাধারণত, ২৮ সপ্তাহের বেশি গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ফ্লাই করার আগে ডাক্তারের কাছ থেকে ‘ফিট টু ফ্লাই’ ফর্ম নিতে হয়। এমনকি, এই ফর্ম থাকার পরেও ৩৬ সপ্তাহের বেশি গর্ভবতী নারী এবং একাধিক সন্তানসম্ভবা হলে ৩২ সপ্তাহের পর তাঁদের বিমানযাত্রার অনুমতি থাকে না।

এছাড়াও, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মায়ের শারীরিক সুস্থতার জন্য সাধারণত দুই দিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সিজারিয়ান সেকশন (Caesarean section) এর ক্ষেত্রে এই সময় আরও বাড়ে।

শিশুদের ক্ষেত্রে, জন্মের অন্তত আট দিন পর তারা বিমানে ভ্রমণ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে একজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর উপস্থিতি আবশ্যক।

বিভিন্ন বিমান সংস্থার এই ধরনের নীতিমালাগুলি যাত্রী নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা বিদেশে ভ্রমণ করেন, তাঁদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।

ভ্রমণের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং বিমান সংস্থার নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি। তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *