আতঙ্কের জন্ম! ‘আমিই যিশু’ বলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত এক ব্যক্তি

ফ্লোরিডায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তির মৃত্যু, যিনি নিজেকে ‘যিশু’ দাবি করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে এক মর্মান্তিক ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। নিহত ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ওয়েন ভোলজ।

তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেকে ‘যিশু এবং ঈশ্বর’ বলে দাবি করেছিলেন।

পোল্ক কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে বার্টো শহরের একটি দোকানে পারিবারিক কলহের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।

এর আগে, ভোলজ তার বাবা-মায়ের সাথে ফোর্ট মেইড শহরে ঝগড়া করেন।

শেরিফ গ্র্যাডি জুড এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভোলজ তার মায়ের ওপর বন্দুক দিয়ে আঘাত করেন এবং বাবাকে মারধর করে জিম্মি করে রাখেন।

এসময় তিনি তার বাবা-মাকে তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং নিজেকে ‘যিশু ও ঈশ্বর’ দাবি করে তাদের সাথে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন।

ভোলজের বাবা একপর্যায়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং জানান যে তারা বিশ্বাসী মানুষ, তিনি ঈশ্বর নন।

এরপর ভোলজ তার বাবাকে সাথে নিয়ে বার্টো শহরের একটি ‘লো’(Lowe’s) নামক হার্ডওয়্যার দোকানে যান, যেখানে তার বাবা কাজ করতেন।

সেখানে গিয়ে ভোলজ তার বাবাকে বলেন, ‘সেখানে অনেক মানুষকে মারতে হবে।’

খবর পাওয়া মাত্রই বার্টো পুলিশ এবং পোল্ক কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

শেরিফের কার্যালয় ড্রোন ব্যবহার করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করে।

ডেপুটিরা ভোলজকে দোকানের বাইরে দেখতে পান এবং তাকে থামতে বলেন, কিন্তু তিনি দৌড়াতে শুরু করেন।

এরপর তিনি পুলিশের গাড়িবহরে গুলি চালান।

এতে ডেপুটি এডউইন আলেকজান্ডার গুলিবিদ্ধ হন এবং পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

এতে এক পুলিশ অফিসারও আহত হন।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলজকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

শেরিফ জুড আরও জানান, নিহত ব্যক্তি মাদকাসক্ত ছিলেন।

আহত পুলিশ সদস্য এবং ডেপুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তারা এখন সুস্থ আছেন।

এ ঘটনার তদন্তের জন্য স্থানীয় অফিসার ইনভলভড ডেডলি ইনসিডেন্ট (OIDI) টাস্ক ফোর্স এবং পিসিএসও প্রশাসনিক তদন্ত ইউনিট কাজ করছে।

পোল্ক কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষক ময়নাতদন্তের কাজ করছেন।

তথ্য সূত্র: পিপলস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *