ফ্লোরিডা স্টেট-এর বন্দুকবাজের মা-ও কি দায়ী? চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (Florida State University) বন্দুক হামলা, সন্দেহভাজন শিক্ষার্থীর মায়ের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্দুক হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (FSU) এক শিক্ষার্থীর গুলিতে নিহত হয়েছেন দুইজন, আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

হামলার অভিযোগে পুলিশ ২০ বছর বয়সী ফিনিক্স ইকনরকে (Phoenix Ikner) গ্রেফতার করেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, অভিযুক্তের মায়ের বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে এই হামলায়।

তিনি স্থানীয় শেরিফের অফিসে কর্মরত ছিলেন।

ঘটনার পর থেকেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফিনিক্স ইকনরের মা জেসিকা ইকনরের (Jessica Ikner) ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় অভিভাবকদের দায়বদ্ধতা নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়।

এর আগে, মিশিগানে এক কিশোরের স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় তার বাবা-মাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা ছেলেকে বন্দুক কিনে দিয়েছিলেন, যদিও ছেলেটির মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা ছিল।

তদন্তকারীরা এখন জানার চেষ্টা করছেন, কীভাবে ফিনিক্স তার মায়ের বন্দুকটি ব্যবহার করতে পারল। মা কি তাকে বন্দুকটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন? তিনি কি জানতেন যে তার ছেলে সহিংস হতে পারে?

অথবা, তার ছেলের মধ্যে এমন প্রবণতা ছিলো যা তিনি হয়তো বুঝতে পারেন নি? তদন্তের অংশ হিসেবে, ফিনিক্সের মানসিক স্বাস্থ্য এবং অতীতে তার কোনো সহিংসতার ইতিহাস ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সময় ফিনিক্সের কাছে একটি .45 ক্যালিবারের পিস্তল পাওয়া গেছে, যা তার মায়ের সার্ভিস গান ছিল। এছাড়াও, তার গাড়িতে একটি এআর-১৫ স্টাইলের রাইফেল ও একটি শটগান পাওয়া গেছে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, সে আরও বেশি মানুষের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল।

আহত ফিনিক্স বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হওয়ার পর তাকে আটক করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হবে।

এদিকে, ফিনিক্সের অতীতের কিছু আচরণও এখন আলোচনার বিষয়। তার প্রাক্তন সহপাঠীরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে তিনি চরমপন্থী ছিলেন। এমনকি, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি সমর্থন এবং বর্ণবাদের পক্ষেও কথা বলতে শোনা গেছে তাকে।

আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার পর ফিনিক্সের মায়ের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হবে কিনা, তা নির্ভর করছে অনেক তথ্যের ওপর। যেমন, তিনি কি জানতেন যে তার ছেলে সহিংসতার পরিকল্পনা করছে? অথবা, তিনি কি তার ছেলের হাতে সহজে বন্দুক তুলে দিয়েছিলেন?

তবে, ফ্লোরিডার আইন অনুযায়ী, সাধারণত কোনো নাবালক অপরাধ করলে, সেক্ষেত্রে বাবা-মাকে দায়ী করা যায়। যেহেতু ফিনিক্সের বয়স ২০ বছর, তাই সরাসরি তার মাকে অপরাধের জন্য দায়ী করা কঠিন হতে পারে।

এই ঘটনার পর, ফ্লোরিডায় বন্দুক আইনের কঠোরতা এবং অভিভাবকদের দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *