আতঙ্কে দিন কাটাতেন, তবুও বাঁচানো গেল না! ফ্লোরিডার ঘটনায় ৬ পুলিশ বরখাস্ত!

ফ্লোরিডার একটি ঘটনায়, ঘরোয়া সহিংসতার শিকার এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ছয় জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ১১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

নিহত নারী, মেরি গিংলস, তার প্রাক্তন স্বামী নাথান গিংগেলসের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ জানালেও পুলিশ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়।

তদন্তে জানা গেছে, ব্রাউয়ার্ড শেরিফের অফিসের একাধিক ডেপুটি মেরি গিংগেলসের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেননি। তিনি মাসের পর মাস ধরে তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন।

এমনকি নাথান গিংগেলসকে তার থেকে দূরে রাখতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা (restraining order) জারি করা হলেও, তিনি তা ভেঙে দিচ্ছিলেন।

মেরির অভিযোগ ছিল, নাথান তাকে মারধর করার পাশাপাশি নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিল।

ঘটনার দিন, নাথান গিংগেলস মেরির বাবা এবং প্রতিবেশীসহ মোট তিনজনকে হত্যা করে।

মেরির মৃত্যুর আগে, তিনি বেশ কয়েকবার ৯১১-এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনার এক বছর আগে থেকেই মেরি তার বন্ধু, পরিবার এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের কাছে তার স্বামীর ভয়ের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে নাথান তাকে মেরে ফেলবে।

ব্রাউয়ার্ড শেরিফ, গ্রেগরি টনি, এক বিবৃতিতে বলেছেন, “মেরিকে রক্ষার জন্য আমাদের কাছে একাধিক সুযোগ ছিল, কিন্তু সেই সুযোগগুলো কাজে লাগানো হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডেপুটি ও গোয়েন্দারা তাদের প্রশিক্ষণ অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।”

তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, নাথান গিংগেলস মেরির গাড়িতে ট্র্যাকার লাগিয়েছিলেন এবং তাদের গ্যারেজে টেপ ও জিপ টাইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রেখে যেতেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের আচরণ মারাত্মক সহিংসতার পূর্বাভাস দেয়।

বর্তমানে, নাথান গিংগেলস-এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার চলছে এবং তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন। কর্তৃপক্ষের এই ধরনের দুর্বলতা এবং গাফিলতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ঘরোয়া সহিংসতার শিকার নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *