এক্সিটর সিটির ম্যানেজার গ্যারি ক্যাল্ডওয়েল মনে করেন, মাঠের কর্মকর্তাদের তার স্কটিশ কণ্ঠস্বরটিকে আগ্রাসী হিসেবে ভুল বোঝার কারণে তিনি প্রায়ই লাল কার্ডের শিকার হচ্ছেন।
সম্প্রতি, একটি লিগ ওয়ান ম্যাচে লিংকন সিটির বিরুদ্ধে খেলার সময় রেফারি তাকে মাঠ থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এই মৌসুমে এটি ছিল তার দ্বিতীয় লাল কার্ড।
৪২ বছর বয়সী ক্যাল্ডওয়েল, যিনি একসময় সেল্টিক এবং হিবারনিয়ানের হয়ে খেলেছেন, তার মতে খেলার প্রতি তার আবেগকেই ভুলভাবে শৃঙ্খলাহীনতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিনি এমনকি এও ভাবছেন, তার কণ্ঠের স্বর পরিবর্তন করা উচিত, যাতে তাকে কম আগ্রাসী মনে হয়।
ক্যাল্ডওয়েল বলেন, “আমার মনে হয়, আমরা একটা খারাপ খ্যাতি তৈরি করছি, যেন আমরা খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।
কিন্তু আমি মনে করি, আমরা আসলে আমাদের ক্লাবের জন্য সেরাটা চাই এবং সেই চেষ্টা থেকেই এমনটা হয়। তবে, এর ফলস্বরূপ আমাকে মূল্য দিতে হচ্ছে।
সম্ভবত, আমাকে নিজের দিকে তাকাতে হবে এবং পরিবর্তন আনতে হবে। সম্ভবত, আমার কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে এবং আরও ‘ব্রিটিশ’ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।”
ক্যাল্ডওয়েল আরও জানান, এমনকি তার স্ত্রী জেনও তার কণ্ঠকে আগ্রাসী হিসেবে ভুল বোঝেন।
“জেন সবসময় অভিযোগ করে যে আমি তার সঙ্গে, বাচ্চাদের সঙ্গে, এমনকি কুকুরের সঙ্গেও কেমন যেন রুক্ষ আচরণ করি। আমার মনে হয়, এটা আমার স্কটিশ কণ্ঠের কারণে,” ক্যাল্ডওয়েল বলেন।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে ওয়াইকম্বের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তিনি লাল কার্ড দেখেছিলেন।
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (Football Association) এরই মধ্যে ক্যাল্ডওয়েলের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনেছে।
খেলোয়াড় হিসেবে স্কটল্যান্ডের হয়ে ৫৫টি ম্যাচ খেলা ক্যাল্ডওয়েল আরও বলেন, “আমার কণ্ঠস্বর শুনতে খুবই আগ্রাসী মনে হতে পারে, তবে আমি কোনো খারাপ কথা বলিনি, দৌড়াদৌড়িও করিনি।
আমার মতে, আমি আগ্রাসীও ছিলাম না। আমার কণ্ঠস্বর এবং স্কটিশ পরিচয়টাই হয়তো আগ্রাসী, কিন্তু হ্যাঁ, সেটার জন্যই আমাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।”
ক্যাল্ডওয়েলের এই ঘটনা প্রমাণ করে, খেলাধুলায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক স্বর বা উচ্চারণের কারণেও অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান