যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফুটবল কোচ ম্যাট ওয়েইসের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার অ্যাথলেটের ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতে দোষী না-মেনেছেন। ডেট্রয়েটের একটি ফেডারেল আদালতে তিনি হাজির হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে কম্পিউটার হ্যাকিং ও পরিচয় চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।
খবরটি দিয়েছে গার্ডিয়ান।
অভিযোগনামা অনুসারে, ওয়েইস ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত সময়ে একশ’র বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাবেসে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করেন। এর মধ্যে প্রধানত নারী অ্যাথলেটদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ছিল, যা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তে ধারণ করা হয়েছিল।
তিনি তথ্যের জন্য একটি তৃতীয় পক্ষের সরবরাহকারীর সাহায্য নিতেন।
ওয়েইস মূলত নারী কলেজ অ্যাথলেটদের লক্ষ্য করতেন এবং তাদের স্কুল, ক্রীড়া ইতিহাস ও শারীরিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে তাদের প্রোফাইল তৈরি করতেন। তার লক্ষ্য ছিল গোপন ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা, যা সাধারণত ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরে শেয়ার করার কথা ছিল না।
এই ঘটনার জেরে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন জিমন্যাস্ট ও নারী সকার দলের এক প্রাক্তন সদস্যের পক্ষ থেকে একটি ক্লাস-অ্যাকশন মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েইসের কাজকর্ম তত্ত্বাবধানে ব্যর্থ হয়েছে।
এর ফলে হাজারো মানুষের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে।
ম্যাট ওয়েইস একসময় বাল্টিমোর রেভেন্স (Baltimore Ravens) এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২২ সালে তিনি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অফেন্সিভ কো-অর্ডিনেটর ছিলেন, যখন দলটি ১৩-১ ব্যবধানে জয়ী হয়ে কলেজ ফুটবল প্লে-অফে খেলেছিল।
এর আগে তিনি এক দশক ধরে ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (NFL) রেভেন্স দলের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা না করার কারণে ২০২৩ সালে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান