শিরোনাম: মার্কিন সাহায্য কাটছাঁটের ফলে বিপর্যস্ত, জীবন বাঁচানো প্রকল্পগুলোতে অর্থ যোগাতে এগিয়ে এলেন প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তারা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বৈদেশিক সাহায্য কমানোর সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ নাইজেরিয়া ও মালির মতো দেশগুলোতে অপুষ্টির শিকার শিশুদের জীবন রক্ষার জন্য জরুরি সহায়তা প্রকল্পগুলো মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। খাদ্য সহায়তা এবং চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তারা। তারা একটি নতুন উদ্যোগ শুরু করেছেন, যার মাধ্যমে অনুদানদাতাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রকল্পগুলোর সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID)-এর প্রাক্তন কর্মকর্তারা ‘প্রজেক্ট রিসোর্স অপটিমাইজেশন’ (PRO) নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। এই প্ল্যাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য হলো, যারা সাহায্য করতে চান, তাদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন এমন প্রকল্পগুলোর সংযোগ ঘটানো।
এর ফলে, অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য খাদ্য সরবরাহ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। উদাহরণস্বরূপ, মালিতে ‘অ্যালায়েন্স ফর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল অ্যাকশন’ (ALIMA) নামক একটি সংস্থা সেখানকার শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রকল্প চালাচ্ছিল।
কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত, PRO-এর সহায়তায় এখন তারা নতুন অনুদান পেয়েছে, যার ফলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া এবং ৫ হাজারের বেশি শিশুকে তীব্র অপুষ্টি থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
নাইজেরিয়ায় ‘অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গার’ (ACF) নামের একটি সংস্থা অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। খাদ্য সংকটের কারণে তাদের কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।
তবে PRO-এর সহযোগিতায় তারাও এখন তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছে, যাতে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাসগুলো নাইজেরিয়ায় অপুষ্টির চরম সময়।
তাই এই সময়ে খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখাটা অত্যন্ত জরুরি।
প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, USAID-এর সাহায্য কমে যাওয়ায় অনেক জীবন বাঁচানো প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এর ফলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে।
যারা সাহায্য করতে চান, তাদের জন্য PRO একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। এখানে ছোট-বড় সব ধরনের অনুদান দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এমনকি, অনলাইনে একটি ‘র্যাপিড রেসপন্স ফান্ড’ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে যে কেউ সামান্য অর্থ দিয়েও সাহায্য করতে পারেন।
প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তাদের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। কারণ, তাদের অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জীবন-মরণ সমস্যাগুলোর সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার এগিয়ে আসাটা জরুরি, যাতে সহায়তা কার্যক্রমগুলো বন্ধ না হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।
তথ্য সূত্র: CNN
