মধ্যবয়সে বন্ধু হারানোর অভিজ্ঞতা: একা হয়ে যাওয়ার অনুভূতি
চল্লিশোর্ধ্ব এক নারীর বন্ধুত্বের জগৎ ধীরে ধীরে কেমন যেনো বদলে যাচ্ছে। একসঙ্গে কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় তিনি একা হয়ে পড়েছেন।
সম্প্রতি, তিনি জানতে চান, জীবনের এই সময়ে বন্ধুদের থেকে দূরে চলে যাওয়াটা কি স্বাভাবিক ঘটনা? বিষয়টি নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যের একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরাম ‘মামসনেট’-এ প্রশ্ন রেখেছিলেন।
ওই নারীর উদ্বেগের কারণ হলো, বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে তার সম্পর্ক অপ্রত্যাশিতভাবে ভেঙে গেছে। সম্পর্কের অবনতির পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ।
কারো ক্ষেত্রে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মানসিক দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে, কারো ক্ষেত্রে সন্তানদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ, আবার কেউ হয়তো গোপন কথা ফাঁস করে দিয়েছেন।
এমনকি, পছন্দের পুরুষটিকে নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে মনোমালিন্যও দেখা গেছে।
মামসনেটের ওই আলোচনায় অনেকে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তাদেরও অনেকের জীবনে একই ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্বের পরিধি ছোট হয়ে আসছে। কারো কারো মতে, সন্তানের দেখাশোনা করতে গিয়ে অথবা কর্মজীবনের ব্যস্ততায় আগের মতো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয় না।
ফলে, ধীরে ধীরে সম্পর্কের গভীরতা কমে আসে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া কেউ কেউ মনে করেন, বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো একেক সময় একেক ধরনের হয়।
কিছু বন্ধু হয়তো জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের সঙ্গে থাকে, আবার কিছু বন্ধু সারাজীবনের জন্য থেকে যায়। সবার কাছ থেকে সব ধরনের সমর্থন পাওয়া সম্ভব নয়।
তাই, নতুন বন্ধু তৈরি করা এবং অন্যদের সঙ্গে কম সময় কাটানো যেতে পারে।
বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে, বন্ধু এবং স্বজনদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখাটা মানসিক শান্তির জন্য অপরিহার্য।
মধ্যবয়সে বন্ধু হারানোর এই অভিজ্ঞতা অনেকের কাছেই তাই বেশ কষ্টের।
তথ্য সূত্র: পিপল