মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায় এক কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারের কবরের সন্ধান মিলেছিল প্রায় তিন দশক আগে। সেই ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এখনও লড়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
জানা গেছে, ফক্স হলো ফার্ম নামক স্থানে পাওয়া কঙ্কালগুলোর মধ্যে প্রায় ২৫ জন মানুষের দেহাবশেষ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
হ্যামিল্টন কাউন্টি করোনর অফিসের প্রধান জেফ জেলিসন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, প্রতিটি ভিকটিমই একটি ট্র্যাজেডি এবং তাদের ব্যক্তিগতভাবে দেখা উচিত, কোনো পরিসংখ্যান হিসেবে নয়। ১৯৯০-এর দশকে হার্ব বাউমিস্টার নামের ওই সিরিয়াল কিলার ফক্স হলো ফার্মে মানুষগুলোকে খুন করে তাদের দেহ পুঁতে রেখেছিল।
১৯৯৬ সালে বাউমিস্টারের মৃত্যুর পর তার অপরাধের প্রমাণ মেলে। পুলিশ ওই স্থানে কয়েক হাজার হাড় ও দেহের বিভিন্ন অংশ খুঁজে পায়। বাউমিস্টারের ছেলে ১৩ বছর বয়সে বাবার খামারের জঙ্গলে একটি খুলি ও কিছু হাড় খুঁজে পায়, যা এই ঘটনার সূত্রপাত করে।
বাউমিস্টার প্রথমে দাবি করেছিলেন, তার প্রয়াত বাবার সংগ্রহ করা কঙ্কালের অংশ এটি। পরে জানা যায়, বাউমিস্টার ছিলেন একজন সিরিয়াল কিলার।
তদন্তকারীরা বলছেন, যেহেতু অনেক দেহাবশেষ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল বা ভেঙে গিয়েছিল, তাই ভিকটিমদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত ভিকটিমদের মধ্যে একজন হলেন ড্যানিয়েল থমাস হ্যালোরান।
এছাড়া জেফরি জোন্স এবং অ্যালেন লিভিংস্টনকেও শনাক্ত করা গেছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, ডিএনএ নমুনা প্রদানের মাধ্যমে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য। এর মাধ্যমে ভিকটিমদের শনাক্ত করতে সুবিধা হবে।
কেউ যদি ডিএনএ নমুনা দিতে চান, তাহলে তারা ইন্ডিয়ানা স্টেট পুলিশ মিসিং পারসনস হটলাইন ৮৩৩-৪৬৬-২৬৫৩ অথবা হ্যামিল্টন কাউন্টি করোনর অফিসে ৩১৭-৭৭০-৪৪১৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
করোনর অফিসের প্রধান জেফ জেলিসন বলেছেন, এই তদন্ত তার অফিসের মেয়াদকালের অনেক পরেও চলতে পারে। তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা ভিকটিমদের শনাক্ত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি ভিকটিম একটি ট্র্যাজেডি এবং তাদের আলাদাভাবে দেখা উচিত।”
তথ্য সূত্র: পিপলস