ফ্রান্সের সেরা রেস্তোরাঁ: যেখানে মুগ্ধকর পরিবেশে মিলবে সুস্বাদু খাবার!

ফরাসি খাবারের স্বাদ: পাঠকদের পছন্দের কিছু রেস্টুরেন্ট

ফ্রান্স ভ্রমণে গেলে সেখানকার স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়। বিভিন্ন ধরণের খাবারের দোকান আর রেস্টুরেন্টগুলোতে স্থানীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন।

সম্প্রতি, ফ্রান্সের কিছু জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট নিয়ে পাঠকদের পছন্দের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে নানা ধরনের খাবারের দোকান আর তাদের বিশেষত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই রেস্টুরেন্টগুলো সম্পর্কে:

নিসের ‘কুইলিজ বুশে’ (Coquillages Bouchet): যারা তাজা সি-ফুড পছন্দ করেন, তাদের জন্য নিস-এর রুয়ে রুস্কা-র এই রেস্টুরেন্টটি আদর্শ। এখানকার মেনু ছোট হলেও পরিবেশটা বেশ আরামদায়ক।

বিশেষ করে সি-অর্চিন (sea urchin) এবং অয়েস্টার-এর (oysters) জন্য এই জায়গাটি পরিচিত। মেন্যুতে থাকা সি-ফুডের প্লেটার, সঙ্গে ঠান্ডা সাদা ওয়াইন-এর স্বাদ এখানে উপভোগ করা যায়।

বিউজোলাইস-এর ‘জোসেফিন আ টেবিল’ (Joséphine à Table): এই রেস্টুরেন্টটি সেন্ট-অ্যামোর-বেলেভিউ-এর (Saint-Amour-Bellevue) একটি সুন্দর গ্রামে অবস্থিত। এখানে পাওয়া যায় গ্রামীণ ঘরানার খাবার।

মেন্যুতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পদ, যেমন – চিকেন ইন ভিন জোন সস উইথ মরেলস (chicken in vin jaune sauce with morels)। খাবারের সঙ্গে স্থানীয় ওয়াইন-এর স্বাদ নিতে পারেন, যার দাম খুবই সাশ্রয়ী।

এখানে একটি মেনু-র দাম প্রায় ২৪ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২,৮০০ টাকার মতো (বিনিময় হার পরিবর্তনশীল)।

মার্সেইয়ের ‘শার্লট রিপাইলে’ (Charlotte Ripaille): মার্সেইয়ের (Marseille) পুরানো বন্দরের কাছে অবস্থিত একটি বিস্ট্রো (bistro)। এখানে বসে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে প্রাকৃতিক ওয়াইনের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে।

মেন্যুতে ছিল র‍্যাডিচিও উইথ স্টিলটন, পিয়ার অ্যান্ড হ্যাজেলনাট (radicchio with stilton, pear and hazelnuts), স্ক্যালপস ইন স্মোকড লেমন (scallops in smoked lemon), গ্রিলড ডোরাড উইথ আলমন্ড সস (grilled dorade with almond sauce) এবং বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট।

প্যারিসের ‘লে মভেই গারসোঁ’ (Les Mauvais Garçons): রুয়ে ডি রিভোলি-র (Rue de Rivoli) কাছে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি লিয়োনেইস (Lyonnais) খাবারের জন্য পরিচিত। এখানে আপনি পর্ক সসেজ ইন সাবলাইম ব্রায়োশ (pork sausage in a sublime brioche) এবং পাইক ডাম্পলিং ইন লবস্টার বিস্ক (pike dumpling in lobster bisque)-এর মতো পদ উপভোগ করতে পারবেন।

ব্রিটানির ‘লা বেজ’ (La Base): কুইবেরন-এর (Quiberon) কাছাকাছি অবস্থিত একটি মনোরম ফিশিং ভিলেজ-এ এই রেস্টুরেন্ট। এখানে তাজা সার্ডিন, এবং কোট ডি বোয়েফ (côte de boeuf) পাওয়া যায়।

এছাড়াও, এখানকার হাউস রেড ওয়াইন-এর দাম প্রতি গ্লাসের জন্য মাত্র ৪ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৭০ টাকার মতো (বিনিময় হার পরিবর্তনশীল)।

ডরডগনের ‘লা রেক্রিয়েশন’ (La Récréation): লট ডিপার্টমেন্টের লেস আর্কস (Les Arques) গ্রামে অবস্থিত একটি চমৎকার রেস্টুরেন্ট। এখানে লবস্টার রাভিওলি ইন কোরাল সস (lobster ravioli in coral sauce) এবং ক্রাউস্টিলাঁ দে সেন্ট-জ্যাকুস (croustillants de Saint-Jacques) -এর মতো সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়।

ফ্লোরাকের ‘ও পেসের মিনো’ (Au Pêcher Mignon): আর্দেচের কাছে ফ্লোরাক-এ অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি খুবই আন্তরিকতার সাথে অতিথিদের আপ্যায়ন করে। এখানে চিজ ও বিফ গ্যালেট (cheese and beef galettes) এবং বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবার পাওয়া যায়।

দিনার্দের ‘লে পিক আ বুলো’ (Le Pic à Bulot): দিনার্দ-এ অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি সি-ফুড প্লেটারের জন্য পরিচিত। এখানে প্রন, ল্যাঙ্গুস্টিন, ওয়েল্কস, অয়েস্টার ও উইংকেলস-এর মতো বিভিন্ন সি-ফুড উপভোগ করতে পারবেন।

বোর্দোর ‘ও বিস্ত্রো’ (Au Bistrot): ক্যাপুসিনস মার্কেট-এর কাছাকাছি অবস্থিত এই রেস্টুরেন্ট-এ ফ্রেঞ্চ কমফোর্ট ফুড পাওয়া যায়। এখানে গরুর মাংসের স্টু (slow beef bourguignon) এবং ক্রিমি গার্লিক-যুক্ত পটেটো ডফিনোয়েজ (potato dauphinoise)-এর মতো খাবার পাওয়া যায়।

মেনুর দাম সাধারণত ২৫ ইউরোর বেশি হয় না, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২,৯০০ টাকার মতো (বিনিময় হার পরিবর্তনশীল)।

বুলোন-সুর-মেরের ‘লে চ্যাটলিয়ন’ (Le Chatillon): বুলোন-সুর-মেরের (Boulogne-sur-Mer) একটি ফিশিং পোর্টে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি এখানকার স্থানীয় জেলেদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এখানে স্মোকড স্যামন, হেরিং এবং স্মোকড ম্যাকেরেলের মতো খাবার পাওয়া যায়।

সুতরাং, যারা ফরাসি খাবারের স্বাদ নিতে চান, তারা এই রেস্টুরেন্টগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *