ফ্রান্সের কারাগারে বন্দুক হামলা: গভীর রাতে আতঙ্কের সৃষ্টি!

ফ্রান্সের বিভিন্ন কারাগারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সন্ত্রাস দমন বিভাগ। মঙ্গলবার রাতের আঁধারে কয়েকটি কারাগারে একযোগে হামলা চালানো হয়, যেখানে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।

ফরাসি কর্তৃপক্ষের ধারণা, মাদক চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলাগুলো চালানো হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা কোকেন সহ মাদকদ্রব্য আটকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সরকার মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে।

প্যারিসের কাছের ভিলপিন্তে কারাগারের পার্কিংয়ে তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, যার মধ্যে দুটি ছিল কারারক্ষীদের। এছাড়া, তুলোন শহরের একটি কারাগারে “কালাশনিকভ টাইপ” রাইফেল দিয়ে হামলা চালানো হয়, যেখানে ১৫টি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিতেইলো জানিয়েছেন, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কারারক্ষী ও কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির বিচারমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমানিন বলেছেন, “কয়েকটি কারাগারে কর্মকর্তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ফরাসি প্রজাতন্ত্র মাদক পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপরাধ চক্রগুলোকে নির্মূল করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”

ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএসআই-ও (DGSI) এই হামলার তদন্তে যুক্ত হয়েছে। কারাগারে নিরাপত্তা কর্মী সংকটের কথা উল্লেখ করে, একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা কারাগারের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এই হামলার ঘটনা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত অপরাধ চক্রগুলোর ক্ষমতা এবং তাদের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানের একটি ইঙ্গিত বহন করে। ফ্রান্সে সংগঠিত এই ঘটনা আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে মাদক ব্যবসার বিস্তার এবং এর সাথে জড়িত অপরাধের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা দেয়।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *