যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান দৌড়বিদ ফ্রেড কার্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার প্রাক্তন বান্ধবী এবং হার্ডলার অ্যালেশা জনসনকে মারধর করেছেন।
মিয়ামিতে অনুষ্ঠিতব্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্র্যাক ইভেন্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল কার্লির, তবে এই ঘটনার জেরে তিনি সেই প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মিয়ামির একটি হোটেলে এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে অ্যালেশা জনসন, যিনিও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত ছিলেন, তার কন্ডিশনিং কোচের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
তখনই কার্লির সাথে তার দেখা হয়। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে জনসন জানিয়েছেন, কার্লি তার উপর চড়াও হন এবং এক পর্যায়ে তাকে ঘুষি মারেন।
এতে তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। পুলিশ রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জনসনের আঘাতগুলি তার কথার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
এই ঘটনার পর ২৯ বছর বয়সী ফ্রেড কার্লির বিরুদ্ধে ‘ব্যাটারি-টাচ অর স্ট্রাইক’ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ধরনের অভিযোগকে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত বা আক্রমণের শামিল হিসেবে গণ্য করা হয়। কার্লি ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে ১০০ মিটার দৌড়ে রৌপ্য এবং ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে একই বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্র্যাক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ফ্রেড কার্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন, এবং এই বিষয়ে সমস্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্রওয়ার্ড কাউন্টি শেরিফের অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ফ্রেড এই সপ্তাহান্তে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না।
আমরা এই মুহূর্তে আর কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।” উল্লেখ্য, গত মাসে জ্যামাইকার কিংস্টনে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্র্যাকের উদ্বোধনী আসরেও কার্লি অংশ নিয়েছিলেন।
এই ট্র্যাক ইভেন্টটি তৈরি করেছেন চারবারের অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী মাইকেল জনসন। এটি মূলত ডায়মন্ড লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
ডায়মন্ড লিগ বিশ্বজুড়ে ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধরে রেখেছে, যেখানে প্রতি বছর ১৫টি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান