ফ্রান্সের কারাগারে বন্দুকযুদ্ধ: মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের ফল?

ফ্রান্সে মাদক বিরোধী অভিযানে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রতিবাদে কয়েকটি কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দেশটির বিভিন্ন কারাগারে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় এবং কর্মকর্তাদের হুমকি দেয়।

ফরাসি কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েকদিনে দেশটির কয়েকটি কারাগারে হামলা চালানো হয়েছে।

এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের টুলন শহরের একটি কারাগারে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। এছাড়া, আরো কয়েকটি কারাগারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে এবং কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাকারীরা কারা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো ল্য মেইর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সরকার কারাগারগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, যারা কারাগার ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশটির বিচারমন্ত্রী জর্জেস দারমানিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মকর্তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং টুলন শহরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, মাদক পাচার মোকাবিলায় সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, টুলন, অ্যাঁক্স-অঁ-প্রোভঁস, মার্সেই, ভালঁস ও নিমের মতো দক্ষিণাঞ্চলের এবং প্যারিসের কাছাকাছি ভিলপিন্ট ও নঁতেরে কারাগারগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ইউরোপে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে কোকেন আসার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে মাদক ব্যবসার বিস্তার ঘটেছে। এর ফলস্বরূপ, ফ্রান্সেও মাদক-সংক্রান্ত সহিংসতা বেড়েছে। দেশটির সরকার মাদক পাচার বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে, কারাগারের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ফ্রান্সে ৪৭ টন কোকেন জব্দ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের কারণে বিভিন্ন অপরাধী চক্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যার ফলস্বরূপ কারাগারগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *