বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবসময়ই আনন্দের এবং কষ্টের ভাগাভাগি নিয়ে গঠিত। হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখের এই পথচলায় অনেক সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা যায়।
সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মধ্যে ভ্রমণের খরচ ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন এক নারী তার দীর্ঘদিনের, সম্ভবত ‘আজীবন’ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এক রাতের জন্য বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। গন্তব্যস্থলটি ছিল তাদের শহর থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরের পথ।
তারা দুজনেই ভ্রমণের স্থান নির্বাচন করেন এবং থাকার খরচ ভাগাভাগি করতে রাজি হন। সমস্যাটা বাঁধে যখন বন্ধুটি গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং সেই সাথে কিছু ‘পেট্রোল মানি’ বা তেলের খরচ দেওয়ার কথা বলেন।
বিষয়টি ভালো লাগেনি অপর বন্ধুর। তিনি জানান, যেহেতু তারা ভালো বন্ধু, তাই তার মনে হয়েছে এই ধরনের খরচের কথা উঠাটা একটু অস্বাভাবিক।
উপরন্তু, তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি ‘টাকার হিসেবে খুব একটা ভালো নন’। তার স্বামীও নাকি এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে মাঝে মাঝে বিরক্তি প্রকাশ করেন।
নিজের গাড়ি না থাকার কারণে, তিনি যে বন্ধুটির গাড়িতেই যাবেন, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে, তিনি আরও জানান, তিনি অবশ্যই তেলের খরচ দিতে রাজি আছেন। তিনি জানতে চান, তার এই অনুভূতি কতটা সঠিক?
অনলাইন ফোরামে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে, অধিকাংশ ব্যবহারকারীই এই বিষয়ে বন্ধুর সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানান। তাদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে নিজের খরচ বহন করা উচিত।
বন্ধুদের কাছ থেকে বিনামূল্যে কিছু আশা করাটা অনুচিত।
আলোচনায় আরও উঠে আসে যে, যিনি গাড়ি চালাচ্ছেন, তিনি শুধু তেলের খরচ দিচ্ছেন না, বরং গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, রাস্তাঘাটের ঝুঁকি, এবং সময়ের মূল্যও দিচ্ছেন। তাই, খরচ ভাগাভাগি করাটাই স্বাভাবিক।
অনেকে পরামর্শ দেন, হয় দু’জনের খরচ ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত, নয়তো যিনি গাড়ি চালাচ্ছেন, তাকে পুরোটাই দেওয়া উচিত।
সবশেষে, এই ঘটনাটি বন্ধুত্বের সম্পর্কের গভীরতা এবং আর্থিক লেনদেনের সূক্ষ্ম দিকগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। বন্ধুদের মধ্যে ভ্রমণের সময় খরচের হিসাব কিভাবে করা উচিত, তা নিয়ে আপনার কি কোনো অভিজ্ঞতা আছে?
তথ্য সূত্র: অনলাইন ফোরাম ব্যবহারকারী
