একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকে, ফ্লােইট ৩৫০৬, যা ১৫ই এপ্রিল ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো থেকে পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ানে যাচ্ছিলো, অপ্রত্যাশিতভাবে কঠিন অবতরণের শিকার হয়।
এই ঘটনায় বিমানের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)-এর মতে, বিমানটি প্রথমবার নিরাপদে অবতরণ করতে ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় লুইস মেরিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এটি সফলভাবে অবতরণ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী মেলানি ওয়ারটন সামাজিক মাধ্যমে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন।
তিনি জানান, অবতরণটি ছিলো “আক্রমণাত্মক” এবং “দ্রুত গতিতে” সম্পন্ন হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ভেঙে যায় এবং তিনি নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন।
ওয়ারটন ঘটনার কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে বিমানের পাখা থেকে আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছিলো এবং ভীত যাত্রীদের কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিলো।
ওয়ারটনের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ঘটনার সময় তিনি “পৃথিবীতে আমাদের গল্পের সমাপ্তি” ঘটতে দেখছিলেন।
তাঁর পোস্ট করা তথ্যে, একজন এয়ার ক্র্যাশ তদন্তকারী কর্মকর্তার একটি সাক্ষাৎকারও ছিল, যেখানে কো-পাইলটকে ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে এবং ক্যাপ্টেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় একটি বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
“গুড মর্নিং আমেরিকা” -এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম অবতরণের সময় রানওয়েতে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পরেছিল, যার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঘটনার সময় বিমানের ভেতরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে অনেকে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানান।
ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইন্স ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বিমানে ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন এবং এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
এফএএও ঘটনার তদন্ত করছে এবং তারা জানিয়েছে, বিমানটি প্রথমবার অবতরণে ব্যর্থ হওয়ার পর পুনরায় চেষ্টা করে নিরাপদে অবতরণ করে।
বিমান সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিমানযাত্রার নিরাপত্তা সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং এই ঘটনার তদন্তে বিমান সংস্থা এবং কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তথ্য সূত্র: পিপল