ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (এফএসইউ) বন্দুক হামলায় দুই জন নিহত এবং আরও ছয় জন আহত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত হামলাকারী, ২০ বছর বয়সী ফিনিক্স ইকনর, যিনি স্থানীয় শেরিফের ডেপুটি জেসিকা ইকনরের সৎ ছেলে।
ঘটনাটি কিভাবে ঘটল, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
গত কয়েকদিন আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নে হঠাৎ গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পরে সবাই। তদন্তে জানা যায়, ফিনিক্স তার সৎ মায়ের পুরোনো সার্ভিস পিস্তল ব্যবহার করে এই হামলা চালায়।
গুলির কারণ এখনো অজানা। ঘটনার পর ফিনিক্সকে আটক করা হয়েছে এবং তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জেসিকা ইকনর, যিনি একটি জুনিয়র হাই স্কুলে নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন, ঘটনার সময় আরএএ মিডল স্কুলে কর্মরত ছিলেন।
হামলার খবর পাওয়ার পর, তিনি দ্রুত স্কুল ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত করেন এবং অন্য কাউকে প্রবেশ করতে বাধা দেন। পরে তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ফিনিক্স আগে শেরিফের অফিসের যুব উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এমনকি শেরিফের অফিসের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন।
তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
ছোটবেলায় ফিনিক্সের বাবা-মায়ের মধ্যে কিছু আইনি জটিলতা ছিল।
আদালতের নথি অনুযায়ী, তার মা তাকে ২০১৪ সালে বসন্তের ছুটিতে নরওয়ে নিয়ে যান, যা আদালতের নির্দেশনার লঙ্ঘন ছিল।
পরে, ২০১৫ সালে, ফিনিক্সের মা জেসিকা ইকনর এবং অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন, যা পরে খারিজ হয়ে যায়।
আদালতের অনুমতি নিয়ে ২০১৯ সালে ফিনিক্স তার নাম পরিবর্তন করে।
আদালত তাকে একজন “মানসিকভাবে পরিপক্ক, আবেগপূর্ণ এবং শারীরিকভাবে সুস্থ যুবক” হিসেবে বর্ণনা করে।
ফিনিক্সের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, কলেজে পড়ার সময় ফিনিক্স বর্ণবাদী মন্তব্য করতেন, যার কারণে তাকে একটি ক্লাব থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার দিন, ক্লাসরুমে থাকা শিক্ষার্থীরা গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পরে এবং তাদের পরিবারের কাছে সম্ভাব্য শেষ বার্তা পাঠাতে শুরু করে।
বর্তমানে, এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং কর্তৃপক্ষের ধারণা, জেসিকা ইকনরের প্রাক্তন সার্ভিস পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ এখনো হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস