মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালককে মৃতদেহ অপব্যবহারের অভিযোগে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাইলস হারফোর্ড নামের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে একটি শববাহী গাড়িতে একটি মৃতদেহ লুকিয়ে রেখেছিলেন এবং অন্যদের পোড়ানো ছাইয়ের কঙ্কাল গোপন করেছিলেন।
ডেনভার জেলার অ্যাটর্নি অফিসের সোমবারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হারফোর্ড এপ্রিল মাসে মৃতদেহ অপব্যবহার এবং চুরির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে এই সাজা পেয়েছেন।
জানা গেছে, হারফোর্ডকে দেওয়া ১৮ মাসের কারাদণ্ড কলোরাডোর আইনে এই ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি। কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে ডেনভার পুলিশ হারফোর্ডের কুইটম্যান স্ট্রিটের বাড়িতে অভিযান চালায়।
সেখানে উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার সময় পোড়ানো ছাইয়ের বেশ কয়েকটি বাক্স পাওয়া যায়। এছাড়াও, ক্রিস্টিনা রোসালেস নামের ৬৩ বছর বয়সী এক নারীর দেহাবশেষ শববাহী গাড়ির ভেতর পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হারফোর্ড মৃত ক্রিস্টিনা রোসালেসের পরিবারের কাছে অন্য একজনের দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছিলেন, যা ছিল গুরুতর অন্যায়। রোসালেস ২০২২ সালের আগস্ট মাসে মারা যান।
পুলিশের মতে, এই ঘটনার তদন্তে হারফোর্ডের আরও কিছু বেআইনি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং ব্যবসার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অভিযোগ আনা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সম্ভবত ওই নারীর (ক্রিস্টিনা রোসালেস) দেহাবশেষ মৃত্যুর অল্প কিছু সময় পর থেকেই শববাহী গাড়িতে রাখা হয়েছিল। ডেনভার পুলিশের কমান্ডার ম্যাট ক্লার্ক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পরিবার আগে যে দেহাবশেষ গ্রহণ করেছিল, তারা ভেবেছিল সেটি তাদের স্বজনের।”
আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে ডেনভার জেলার অ্যাটর্নি জন ওয়ালশ বলেছেন, “মাইলস হারফোর্ডের এই জঘন্য কাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দুঃখ কোনোদিনও দূর হবে না, তবে আমাদের আশা, এই রায়ের মাধ্যমে মৃতদের বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনেরা কিছুটা হলেও শান্তি পাবেন।”
অন্যদিকে, জানা গেছে, এর আগে হারফোর্ড লিটলটনের অ্যাপোলো ফিউনারেল অ্যান্ড ক্রিমেশন সার্ভিসের পরিচালক থাকাকালীন সময়ে এক প্রাক্তন কর্মীর অ্যাকাউন্টে হ্যাক করে একটি বিল পরিশোধ করেছিলেন। এর জন্য তার বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ আনা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল