জি৭ সম্মেলনে ট্রাম্পের বিদায়: সঙ্কট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ?

কানানাস্কিস, কানাডা – মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক প্রস্থান এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মাঝে, ধনী দেশগুলোর সংগঠন জি-৭ এর শীর্ষ নেতারা তাদের বার্ষিক সম্মেলনে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। সোমবার কানাডার কানানাস্কিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ট্রাম্পের দ্রুত বিদায়ের ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু অনেকটাই পাল্টে যায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই দ্রুত প্রস্থানের কারণ হিসেবে জানা গেছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং তেহরানে সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কা। সম্মেলনের শেষ দিনে, জি-৭ নেতারা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, বাণিজ্য চুক্তি এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যান।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মতো নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেন। তাঁদের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটেও ছিলেন।

সম্মেলনে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জি-৭ নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, ইরান কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়।

ট্রাম্প তেহরান ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন।

তবে, ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান অন্যান্য জি-৭ নেতাদের থেকে ভিন্ন ছিল। তিনি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়েও দ্বিধা প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, ইউরোপীয় দেশগুলো আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে, তিনি সেই পদক্ষেপের দিকে নজর দেবেন।

আলোচনায় বাণিজ্য সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পায়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য কাঠামো স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *