গ্যাবনে অভ্যুত্থানের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির সামরিক নেতা ব্রিস ওলিগুই এনগুয়েমা ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছেন এই নির্বাচনের মাধ্যমে।
২০২৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় আসেন এবং এরপর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর অনুযায়ী, রাজধানী লিব্রেভিলে ভোট কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
নির্বাচনে প্রায় এক মিলিয়ন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, যাদের মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার বিদেশে বসবাস করেন। ২.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই তেল সমৃদ্ধ আফ্রিকান দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট একটি বড় সমস্যা।
একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে, তেমনই দারিদ্র্যের হারও অনেক বেশি। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রতি তিনজন নাগরিকের মধ্যে একজন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট এনগুয়েমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন অ্যালেইন-ক্লদ বিলি বাই এনজে। তিনি এক সময় আলী বংগোর অধীনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় এনগুয়েমা সাত বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সমালোচকরা বলছেন, ক্ষমতা দখলের আগে এনগুয়েমা দেশটির জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও, বংগো পরিবারের শাসনের সময়কালে দেশটির যে সম্পদ লুট হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে যিনিই সরকার গঠন করবেন, তাকে উচ্চ প্রত্যাশা সম্পন্ন দেশটির মানুষের আশা পূরণ করতে হবে।
কারণ, দেশটির সরকারি ঋণ বাড়ছে, যা গত বছর জিডিপির ৭৩.৩ শতাংশে পৌঁছেছিল এবং চলতি বছর তা বেড়ে ৮০ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। গ্যাবনের এই নির্বাচনের ফলাফল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা