গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়নের বিস্ফোরক মন্তব্য: সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার অনুভূতি!

গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়ন: সারোগেসির মাধ্যমে মা হওয়ার ব্যক্তিগত অনুভূতি

সুপরিচিত অভিনেত্রী গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়ন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারোগেসির মাধ্যমে মা হওয়ার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়াটা তার জন্য কেমন ছিল, সেই বিষয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন।

অভিনেত্রী জানান, সন্তান জন্মদানে নিজের অক্ষমতা তাকে হতাশ করেছিল। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছিল, এটা যেন এক ধরনের ব্যর্থতা। আমার শরীরটা যেন কাজ করেনি। এটা ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং সবার সামনে যেন আমি ছোট হয়ে গিয়েছিলাম।”

গ্যাব্রিয়েল আরও বলেন, “অন্য কাউকে যখন আমি আমার সন্তানের জন্ম দিতে দেখছি, তখন আমার কেমন যেন অসহায় লাগছিল। এটা আমার জন্য ছিল খুবই কঠিন একটা অনুভূতি।” তিনি স্বীকার করেন যে এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এখনও মুক্তি পাননি। যদিও তিনি সারোগেট মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, কিন্তু নিজের ভেতরের অতৃপ্তি সহজে দূর করতে পারছেন না।

স্বামী ড wayne ওয়েডের সাথে তার মেয়ে কাভিয়ার জন্মের গল্প বলতে গিয়ে ইউনিয়ন বলেন, “আমি কখনোই এই বিষয়ে শান্তি পাবো না। আমার মধ্যে একটা গভীর আকাঙ্ক্ষা ছিল, যা আজও বিদ্যমান।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আমার সন্তানের জন্য প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। তবে আমি এখন বুঝি, আমার সন্তান এখানে, সুস্থ এবং ভালো আছে।”

বর্তমানে ৬ বছর বয়সী কাভিয়া এবং তার সৎ বোন ১৭ বছর বয়সী জায়া, একই স্কুলে পড়াশোনা করছে। জায়া যখন আগামী বছর কলেজে যাবে, তখন তাদের একসাথে কাটানো সময় আরও কমবে। এই বিষয়টা নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন।

মে মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত মেট গালা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়ন জানান, জায়া অ্যাস্ট্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে। এই বিষয়ে তারা খুব বেশি সাহায্য করতে না পারলেও, মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য সবাই খুবই উচ্ছ্বসিত।

সারোগেসি বিষয়টি অনেক দম্পতির কাছে সন্তানের মুখ দেখার একটি পথ। তবে গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়নের এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, এই পথটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই বেশ কঠিন হতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *