গাঁজা ও টিএইচসি: হৃদরোগের ভয়ঙ্কর বিপদ! সতর্কবার্তা!

গাঁজা সেবন এবং টিএইচসি মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য: হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে?

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, যারা নিয়মিত গাঁজা সেবন করেন বা টিএইচসি (THC) মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করেন, তাদের শরীরে হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তামাক সেবনকারীদের মতোই তাদের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই তথ্য জানিয়েছেন।

গবেষকরা বলছেন, টিএইচসি হলো গাঁজার প্রধান উপাদান, যা শরীরে মাদকতা তৈরি করে। এর আগে ইঁদুরের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজার ধোঁয়া শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে রক্তনালীর ক্ষতি করে।

তবে মানুষের শরীরে এর প্রভাব কেমন, তা এখনো অজানা ছিল।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা নিয়মিত গাঁজা সেবন করতেন, তাদের রক্তনালীর কার্যকারিতা ৪২ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। অন্যদিকে, যারা টিএইচসি মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করতেন, তাদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত ছিল।

তবে গবেষকরা বলছেন, এটি একটি পর্যবেক্ষণ, যা থেকে কারণ সম্পর্ক নিশ্চিত করা যায় না। অর্থাৎ, গাঁজা সেবনের কারণে যে হৃদরোগ হয়, তা সরাসরি বলা যাচ্ছে না।

গবেষণার প্রধান লেখক, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. লেইলা মোহাম্মাদি জানিয়েছেন, “আমরা দেখেছি, যারা বেশি গাঁজা সেবন করেন, তাদের রক্তনালীর কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে যায়।

এটি তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।”

এই গবেষণার ফল অনুযায়ী, যারা নিয়মিত গাঁজা সেবন করেন, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (American Heart Association) এর মতে, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও রক্তনালীর ক্ষতির আশঙ্কায় ধূমপান বা অন্য কোনো উপায়ে মাদক সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে যারা নিয়মিত গাঁজা সেবন করতেন বা টিএইচসি মিশ্রিত খাবার গ্রহণ করতেন, তাদের রক্তনালীর কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষার জন্য তাদের হাতের উপরের অংশে রক্তচাপ মাপার একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে রক্তনালী কতটা প্রসারিত হতে পারে, তা দেখা হয়।

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, যারা বেশি পরিমাণে গাঁজা সেবন করেন, তাদের রক্তনালীর ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। তবে এই গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে গবেষণা করে এর সঠিক কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *