বিখ্যাত সাংবাদিক গেইল কিং-এর পছন্দের তালিকায় আরামদায়ক উঁচু হিলের জুতো, যা এখন ফ্যাশন দুনিয়ায় আলোচনার বিষয়। সম্প্রতি এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি এই আরামদায়ক স্নিকার্স তিনবার পরে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন।
আরাম এবং ফ্যাশনের এক দারুণ মিশেল ঘটিয়ে ‘স্নেক্স’ (Sneex) ব্র্যান্ডের এই জুতো এখন অনেকেরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
জুনের ১২ তারিখে, গেইল কিং-কে একটি ব্রডওয়ে নাটকের অনুষ্ঠানে দেখা যায় ‘দ্য ব্লেক হাই-হিল স্নিকার্স’ পরে। এর ঠিক পরের দিন, ১৩ই জুন, তিনি লাল কার্পেটে হেঁটেছেন ‘দ্য আইকন’ জুতোজোড়া পরে।
১৬ই জুন, এফ১ প্রিমিয়ারে (F1 premiere) একই ধরনের, তবে সাদা-কালো স্নিকার্সে দেখা যায় তাকে।
আসলে, এই জুতোগুলির প্রধান আকর্ষণ হল এর আরাম। শুধু গেইল কিং-ই নন, ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়সী অনেক নারীই এখন এই জুতো পরছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী রিস উইদারস্পুন, ক্যাথি বেটস এবং আরও অনেকে। এমনকি জনপ্রিয় টক শো হোস্ট ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রেও তাঁর ‘ফেভারিট থিংস’ তালিকায় এই জুতোকে স্থান দিয়েছেন।
স্নেক্স ব্র্যান্ডের জুতোগুলির বিশেষত্ব হল, এগুলির ওজন এমনভাবে répartir করা হয়েছে যে পায়ের পাতা বা গোড়ালিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না। ফলে, সারাদিন জুতো পরে থাকলেও পায়ে ব্যথার সম্ভাবনা কম থাকে।
এছাড়াও, পায়ের আঙুলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা (wide toe box) থাকার কারণে ফোস্কা পড়ারও ভয় থাকে না। ডিজাইনটাও এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা পায়ের সাথে লেগে থাকে এবং আরামের অনুভূতি দেয়।
বাজারে ‘স্নেক্স’-এর নতুন কিছু আকর্ষণীয় রঙ এসেছে – রেট্রো, পপি এবং ক্যান্ডি। গরমের জন্য উপযুক্ত এই উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় রঙগুলো ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের মন জয় করতে শুরু করেছে।
‘দ্য আইকন’ জুতোটির দাম প্রায় ৫৪৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৬৪,০০০ টাকার বেশি। তবে, আমদানি শুল্ক এবং মুদ্রা বিনিময়ের হারের কারণে দামে কিছু তারতম্য হতে পারে।
ফ্যাশন এবং আরাম – দুটো দিককে গুরুত্ব দিয়ে, ‘স্নেক্স’-এর মতো জুতো এখন আমাদের ফ্যাশন সচেতন জীবনে নতুন দিগন্ত দেখাচ্ছে। আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল জুতো, যা একই সাথে স্টাইলিশও বটে, বর্তমান সময়ে খুবই প্রয়োজনীয়।
তথ্য সূত্র: পিপল