গাজায় ঈদ: শোকের ছায়া আর ধ্বংসস্তূপের মাঝে ফিতরের আনন্দ।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এবার ঈদ এসেছে এক গভীর শোক আর অনিশ্চয়তা নিয়ে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ আর খাদ্য সংকটের কারণে উৎসবের আমেজ সেখানে একেবারেই ফিকে হয়ে গেছে। ঈদের দিনেও ধ্বংসস্তূপের পাশে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করতে দেখা গেছে অনেককে। ফিতরের নামাজ শেষে স্বজনহারা মানুষগুলোর চোখে ছিল অশ্রু।
ঈদের এই দিনে সাধারণত সবাই মিলেমিশে আনন্দ করে, নতুন পোশাকে সেজে ওঠে শিশুরা। কিন্তু গাজার ২০ লক্ষাধিক মানুষের কাছে এখন জীবন ধারণ করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানকার মানুষগুলো যেন এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাইছে।
গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে ঈদের নামাজ শেষে আদেল আল-শায়ের নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য দুঃখের ঈদ। আমরা আমাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছি, আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু হারিয়েছি।’ তিনি জানান, ইসরায়েলি হামলায় তার পরিবারের ২০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক দিন আগে নিহত হয়েছেন তার চার ভাতিজা।
গত ১৮ই মার্চ ইসরায়েল গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়ে পুনরায় বিমান হামলা শুরু করে। এরপর থেকে ইসরায়েলের হামলায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খাদ্য, জ্বালানি কিংবা ত্রাণ—কিছুই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না অবরুদ্ধ গাজায়।
সংবাদ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, আরব দেশগুলো নতুন করে যুদ্ধবিরতি চালুর চেষ্টা করছে। হামাস জানিয়েছে, তারা কাতার ও মিশরের দেওয়া নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তবে প্রস্তাবের বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি। ইসরায়েলও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা