গাজায় দুর্ভিক্ষ: জাতিসংঘের রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র!

গাজায় দুর্ভিক্ষ: জাতিসংঘের রিপোর্ট, শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ।

জাতিসংঘের সমর্থনে পরিচালিত একটি গবেষণা বলছে, গাজা শহরের কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে এবং এতে দুর্ভিক্ষের বিস্তৃতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে মাঝে মাঝে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা গভর্নরে, যার মধ্যে গাজা শহরও অন্তর্ভুক্ত, সেখানে দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে। বর্তমানে সেখানকার শিশুরা তীব্র অপুষ্টির শিকার হচ্ছে।

পরিস্থিতি যদি এভাবেই চলতে থাকে, তবে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখ ৩২ হাজার শিশুর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এর মধ্যে ৪১ হাজার শিশুর অবস্থা গুরুতর হতে পারে।

গবেষণাটি করেছে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)। তাদের এই রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

গাজায় ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সংস্থা কোঅর্ডিনেশন অফ গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটোরিজ (COGAT) আইপিসির এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এই রিপোর্টে হামাসের কাছ থেকে পাওয়া পক্ষপাতদুষ্ট ও অসম্পূর্ণ তথ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছে।

COGAT আরও বলেছে, আইপিসির প্রতিবেদনে গাজায় ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, আইপিসি তাদের কাছে পাঠানো তথ্যও বিবেচনায় নেয়নি।

গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণের দায়িত্বে থাকা একটি বিতর্কিত ফাউন্ডেশন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনপুষ্ট এবং জাতিসংঘ ব্যবস্থার পরিবর্তে এটি তৈরি করা হয়েছে।

খাদ্য বিতরণের সময় অনেকে নিহত হয়েছেন, আবার অনাহারেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গাজায় মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছে।

গাজার এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয়ের একটি চরম উদাহরণ। দুর্ভিক্ষের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই সংকট আরও বাড়তে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *