গাজায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চল। সেখানকার শহরগুলো থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে এই নির্দেশ জারির পর জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচাই আদ্রেই এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের বাইত হানুন এবং দক্ষিণাঞ্চলের খুজা ও আবাসন এলাকাকে ‘সংঘাতপূর্ণ জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
সেখানকার বাসিন্দাদের দ্রুত গাজা সিটি ও খান ইউনিসের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেতে বলা হয়েছে। আদ্রেই লেখেন, ‘আপনাদের নিরাপত্তার জন্য, আপনারা অবিলম্বে গাজা সিটি ও খান ইউনিসের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যান।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন আরও ৫৬২ জন। প্রায় দুই মাস আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকা পড়েছেন এবং তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
গাজার মিডিয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে বহু পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলো সব হতাহতকে হাসপাতালে নিতে পারছে না।
মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই নৃশংস গণহত্যা আবারও প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কেবল হত্যা, ধ্বংস এবং গণহত্যার ভাষাই বোঝে।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই গাজায় হামলা চালিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৮ হাজার ৫৭৭ জন ফিলিস্তিনি।
আহত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৪১ জন। এছাড়া, ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা