গাজায় ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
খান ইউনিসে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খান ইউনুসের একটি বাড়ির ওপর ইসরায়েলি বাহিনী প্রথমে বিমান হামলা চালায়। এরপর সেখানে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খবর অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি ত্রাণবাহী গাড়ির কাছে সন্দেহজনক জমায়েত দেখতে পাওয়ার পরেই গুলি চালায়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত করছে।
এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন গাজায় খাদ্য ও জরুরি সরবরাহ চরমভাবে কমে গেছে। জাতিসংঘের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানকার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে ইসরায়েলের কড়া বিধিনিষেধের কারণে ত্রাণ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে গাজায় মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষ এবং নারী ও শিশু রয়েছে। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালে আহতদের আর্তনাদ চলছে, স্বজন হারানোর বেদনা সেখানে শোকের ছায়া ফেলেছে।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছে।
এই ঘটনার পর গাজায় খাদ্য সংকট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস