গাজায় যুদ্ধ: খাদ্য সংকটে সাংবাদিক, শান্তির বার্তা নিয়ে আলোচনা
গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় সেখানকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সেখানকার সাংবাদিকদের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে, এমনটাই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি।
সংবাদ সংস্থাগুলির মতে, গাজায় কর্মরত তাদের সাংবাদিকরা বর্তমানে খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন। একইসঙ্গে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সংবাদ সংস্থাগুলির যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের সেখানে প্রবেশ ও বের হওয়ার অনুমতি দেয় এবং পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করে। এই সংবাদ সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় বসবাসকারী অনেক মানুষ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, তাদের কর্মীরা শিশুদের অপুষ্টির গুরুতর অভিযোগ পাচ্ছেন।
তাদের মতে, অপুষ্টির কারণে শিশুদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং তারা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রসঙ্গে জানা যায়, হামাস তাদের সর্বশেষ প্রস্তাব ইসরায়েলের কাছে পাঠিয়েছে। ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা এই প্রস্তাবকে ‘কার্যকরী’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
ইতিমধ্যে, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে অপুষ্টির কারণে ৪৮ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা ১১৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়া অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি পার্লামেন্টের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের কোনো বৈধ সার্বভৌমত্ব নেই।
তারা আরও বলেছে, এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, একটি গাড়ির ধাক্কায় নেটানিয়ার কাছে আটজন সেনা আহত হয়েছে। এছাড়াও, গাজার মধ্যাঞ্চলে বুধবার রাতে অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে, খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শান্তি ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া জরুরি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস