গাজায় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) কর্মীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো অজানা। গত ২৩শে মার্চ রাফাহ অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণের পর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পিআরসিএস আশঙ্কা করছে, হয় তারা নিহত হয়েছেন, না হয় ইসরায়েলি বাহিনী তাদের আটক করেছে।
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ইউনিস আল-খতিব এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মানবিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের কর্মীরা ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “এই মানুষগুলো কোনো সাধারণ সংখ্যা নয়। যদি অন্য কোথাও এমন ঘটনা ঘটতো, তবে বিশ্ব একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে উঠেপড়ে লাগতো।”
সংবাদ সম্মেলনে আল-খতিব জানান, জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউএন-ওসিএইচএ-এর সহায়তায় উদ্ধারকর্মীরা সম্প্রতি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং এক কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন। তবে বাকি কর্মীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে উদ্ধারকর্মীরা সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য।
তাদের ওপর এমন হামলা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল।”
অন্যদিকে, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, গত ১৮ই মার্চ গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালে রোগীরা নিহত হয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে এবং প্রথম সারির উদ্ধারকর্মীরাও নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, গত বছরের ৭ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি।
উল্লেখ্য, গত ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল এবং প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় বন্দী করা হয়। এরপরই ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা