গাজায় শিশুদের জীবন: কেড়ে নেওয়া শৈশব
গাজার আকাশে যখন বোমার শব্দ, তখন সেখানকার শিশুদের চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ভয়াবহতা কেড়ে নিয়েছে তাদের স্বাভাবিক জীবন। যুদ্ধের ডামাডোলে শিশুরা হারিয়ে ফেলছে তাদের শৈশব।
ঘর-বাড়ি, প্রিয়জন হারানোর বেদনা তাদের প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফেরে।
সংঘাতের কারণে গাজার শিশুদের জীবনে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। বোমা হামলায় আহত হয়ে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করে। হাসপাতালে জায়গা না হওয়ায় অনেক শিশুকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। যুদ্ধের বিভীষিকা তাদের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে, যা সহজে সারে না।
স্কুলগুলো পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না, ফলে তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। খাদ্য সংকটের কারণে অপুষ্টি তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গাজার বিপুল সংখ্যক শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত। বিশুদ্ধ পানির অভাবে বাড়ছে রোগব্যাধি।
যুদ্ধ শিশুদের অধিকার হরণ করে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও, গাজায় তা যেন অধরাই থেকে যায়।
তাদের মৌলিক অধিকারগুলো চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। খেলার বয়সে তারা দেখছে ধ্বংসযজ্ঞ, শুনছে মৃত্যুর আর্তনাদ।
গাজার শিশুদের এই করুণ অবস্থা বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়া দেয়। তাদের জন্য প্রয়োজন মানবিক সহায়তা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।
তাদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করতে হবে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করতে হবে।
যুদ্ধ শিশুদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নেয়। তাই, গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি। শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে হলে, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা