গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতার-এ নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে, একইসাথে গাজায় ইসরায়েলি স্থল অভিযান জোরদার হওয়ায় পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও ইসরায়েল তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে হামাসের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু জানিয়েছেন, কোনো শর্ত ছাড়াই কাতারে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। হামাস প্রতিনিধি দল যুদ্ধ বন্ধ, বন্দী বিনিময়, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়গুলো নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োব গ্যালান্ট বলেছেন, বন্দী মুক্তির বিষয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আরও জানান, গাজায় হামাসের ওপর ‘ব্যাপক চাপ’ সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং অভিযান ততক্ষণ চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত বন্দী মুক্তি ও হামাসকে নির্মূল করা যাচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শনিবার অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনারা তাদের আক্রমণ তীব্র করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলের অভিযান জোরদার হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আরব লীগের এক শীর্ষ সম্মেলনে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে গাজার পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান জানানো হয়। হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে গাজার পরিস্থিতিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেইচার বলেছেন, গাজায় আন্তর্জাতিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েল বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি জানান, সীমান্তের কাছে ১৬০,০০০ এর বেশি ত্রাণ সামগ্রী আটকে আছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা একটি ‘স্বাধীন অঞ্চল’ হওয়া উচিত। গত সপ্তাহে হামাস ইসরায়েলি-মার্কিন সেনা এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেয়। এডান এবং গাজায় আটক থাকা অন্যান্য বন্দীর পরিবারের সদস্যরা সেখানে আটক সকলের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা