হ্যাকম্যানের বাড়িতে ভয়ঙ্কর ভাইরাস: মৃত ইঁদুর ও আতঙ্কের খবর!

বিখ্যাত অভিনেতা জিন হ্যাকম্যানের স্ত্রী বেটসি হ্যাকম্যানের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে তাঁর বাসভবনে পাওয়া গেল মরা ইঁদুরের আনাগোনা। নিউ মেক্সিকোতে তাঁদের বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিদর্শনে এমন দৃশ্য ধরা পড়েছে।

বেটসি হ্যাকম্যানের মৃত্যুর সাত দিনের মাথায় জিন হ্যাকম্যানও মারা যান। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা যায়, বেটসির মৃত্যুর কারণ ছিল হান্টাভাইরাস পালমোনারি সিন্ড্রোম (HPS)। এই ভাইরাস ইঁদুরের শরীর থেকে নির্গত হওয়া বর্জ্যের মাধ্যমে ছড়ায়।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা যায়, মার্চ মাসে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়িটিতে ঝুঁকির মূল্যায়ন করেন। তাঁদের অনুসন্ধানে তিনটি গ্যারেজ, দুটি ছোট কুটির এবং তিনটি শেডে মরা ইঁদুর ও তাদের বাসা খুঁজে পাওয়া যায়।

এমনকি, তিনটি গ্যারেজে জীবিত ইঁদুরও পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িটির প্রধান অংশে অবশ্য তেমন কোনো ইঁদুরের উপদ্রব পাননি।

নিউ মেক্সিকোর জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পশুচিকিৎসক এরিন ফিপস জানিয়েছেন, হ্যাকম্যান দম্পতির মূল বাসস্থানে সংক্রমণের ঝুঁকি কম ছিল। কিন্তু বাড়ির অন্য আটটি ভবনে ইঁদুরের আনাগোনা ছিল।

এছাড়াও, দুটি গাড়িতেও ইঁদুরের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

জানা যায়, অভিনেতা জিন হ্যাকম্যানের বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং আলঝেইমার্স-এর মতো শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

তাঁর স্ত্রী বেটসির বয়স ছিল ৬৫ বছর। ১৯৯১ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৪ সালে অভিনয় জগৎ থেকে অবসর নেওয়ার পর এই দম্পতি সান্টা ফে-তে বসবাস করতেন।

হান্টাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে বিরল। তবে নিউ মেক্সিকোতে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৪২ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।

এরিন ফিপস আরও জানান, গত পাঁচ বছরে রাজ্যে হান্টাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০-এর কম ছিল।

এই ঘটনার পর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিছন্নতা ও ইঁদুরমুক্ত জীবনযাত্রা অত্যন্ত জরুরি। বাড়ির আশেপাশে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

তথ্য সূত্র: পিপলস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *