জিন হ্যাকম্যান ও বেটসির মৃত্যুরহস্য: ভয়াবহ সত্যি!

বিখ্যাত অভিনেতা জিন হ্যাকম্যান এবং তাঁর স্ত্রী বেটসি হ্যাকম্যানের মৃত্যুরহস্যের জট অবশেষে উন্মোচন হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি চূড়ান্ত ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৯৫ বছর বয়সে অভিনেতার মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তাঁর স্ত্রী ৬৫ বছর বয়সী বেটসির মৃত্যু হয় হান্টাভাইরাস সংক্রমণের কারণে।

গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি, নিউ মেক্সিকোর সান্টা ফে-তে তাঁদের বাড়িতে হ্যাকম্যান দম্পতিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পরেই তাঁদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জিন হ্যাকম্যানের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ। আলঝেইমার রোগেও তিনি ভুগছিলেন এবং এটিও তাঁর মৃত্যুর কারণগুলির মধ্যে অন্যতম।

অন্যদিকে, বেটসির মৃত্যুর কারণ হিসেবে হান্টাভাইরাস পালমোনারি সিনড্রোমকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভাইরাসটি সাধারণত ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়ায় এবং এটি ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণ ঘটায়।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেটসি সম্ভবত জিন হ্যাকম্যানের মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেই মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, এরপর বেশ কয়েক দিন অভিনেতা তাঁর মৃত স্ত্রীর সঙ্গেই ছিলেন।

নিউ মেক্সিকোর প্রধান মেডিকেল পরীক্ষক হিদার জ্যারেল ৭ই মার্চ সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্টটি ২৭শে ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়েছিল।

বেটসি মৃত্যুর আগে তাঁর উপসর্গ এবং কোভিড-১৯ বা ফ্লুর সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে কিনা, তা জানতে অনলাইনে অনুসন্ধান করেছিলেন। তবে তাঁর পরীক্ষায় কোভিড-১৯ এবং ফ্লু শনাক্ত হয়নি।

হ্যাকম্যান দম্পতির মৃত্যুর কয়েকদিন পর, তাঁদের সম্মানে সান্টা ফে-তে একটি ছোট, ব্যক্তিগত স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জিন হ্যাকম্যানের তিন সন্তান— ক্রিস্টোফার, এলিজাবেথ এবং লেসলি—উপস্থিত ছিলেন।

হ্যাকম্যান দম্পতির সাথে তাঁদের একটি পোষা কুকুর, ‘জিন্না’র মৃতদেহও পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, জিন্না খাবার ও জলের অভাবে মারা গিয়েছিল। এছাড়া, তাঁদের বাড়িতে আরও দুটি কুকুর জীবিত ছিল।

জিন হ্যাকম্যান ২০০৪ সালে ‘ওয়েলকাম টু মুসপোর্ট’ (Welcome to Mooseport) ছবি মুক্তির পর অভিনয় থেকে অবসর নেন। এরপর থেকে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী একান্তে জীবন যাপন করতেন। তাঁদেরকে সবশেষ একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল মার্চ মাসের শুরুতে, যখন তাঁরা সান্টা ফে-র একটি রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *