বিখ্যাত অভিনেতা জিন হ্যাকম্যান এবং তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুরহস্যের জট খুলছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর সান্টা ফে’তে তাঁদের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছিল তাঁদের মরদেহ।
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে তাঁদের মৃত্যুরহস্যের তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত নথিতে জানা গেছে, হ্যাকম্যানের স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়া মৃত্যুর আগে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ নিয়ে ইন্টারনেটে অনেক তথ্য খুঁজেছিলেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বেটসি আরাকাওয়ার মৃত্যু হয়েছিল ‘হান্টাভাইরাস পালমোনারি সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত হয়ে। এটি এক ধরনের বিরল রোগ, যা ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়ায়।
এই রোগে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অন্যদিকে, জিন হ্যাকম্যানের মৃত্যু হয়েছিল হৃদরোগ এবং আলঝেইমার্স রোগের জটিলতার কারণে।
প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, আরাকাওয়া মৃত্যুর কয়েকদিন আগে, অর্থাৎ ৮ থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোভিড-১৯ এবং ফ্লু-এর উপসর্গ নিয়ে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করেছিলেন।
তিনি জানতে চেয়েছিলেন কোভিড-১৯ এর কারণে মাথা ঘোরা বা নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে কিনা। এমনকি তিনি তাঁর ম্যাসাজ থেরাপিস্টকে একটি ইমেইল করেছিলেন, যেখানে জানিয়েছিলেন, ১১ই ফেব্রুয়ারি হ্যাকম্যানের ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।
যদিও কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল, তাই তিনি তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তদন্তকারীরা আরাকাওয়ার ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখেন এবং ঘটনার দিনগুলোতে তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখেন।
ঘটনার দিন সকালে সান্টা ফে’র একটি চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রে ফোন করেছিলেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই তার একটি মিসড কলও পাওয়া যায়।
তদন্ত রিপোর্টে আরও জানা গেছে, হ্যাকম্যান দম্পতির বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা একটি ইঁদুরের বিষ্ঠা খুঁজে পান। তবে ঘরের ভেতরে ইঁদুরের আনাগোনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আদালতের নির্দেশে প্রকাশিত এই নথিতে মৃত দম্পতির ছবিগুলো প্রকাশ করার ক্ষেত্রে তাঁদের মুখ স্পষ্ট দেখা যায়নি, যা তাঁদের পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস