রোগের সঙ্গে লড়ছেন, তবুও: গোটা পরিবার জিন সিমন্সের ‘ফ্যান’!

মার্কিন রকস্টার জিন সিমন্সের (Gene Simmons) সঙ্গে একদিন কাটানোর জন্য ১২ হাজার ডলারেরও বেশি খরচ করেছেন এক ভক্ত। শুধু তাই নয়, বাবার এই ইচ্ছাপূরণে সঙ্গী হয়েছিল ১৩ বছর বয়সী ছেলে।

সম্প্রতি, “আলটিমেট জিন সিমন্স এক্সপেরিয়েন্স” নামে একটি সুযোগের মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেন ডুয়াইন রোসাদো (Dwayne Rosado) এবং তাঁর ছেলে জ্যাক রোসাদো (Zach Rosado)। খবরটি জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

ডুয়াইন, যিনি পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত কারেকশন সার্জেন্ট এবং মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (Multiple Sclerosis) রোগে আক্রান্ত, ছেলের জন্মদিনের উপহার হিসেবে এই অভিজ্ঞতাটি কিনেছিলেন। এর জন্য তাঁকে খরচ করতে হয়েছে ১২,৪৯৫ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার সমান।

এই বিশেষ দিনে, তাঁরা দু’জন জিন সিমন্সের ব্যক্তিগত সহকারী এবং ব্যান্ড রোড হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।

নিউ জার্সির রেড ব্যাংকের কাউন্ট বাসিয়ে সেন্টার ফর দ্য আর্টসে (Count Basie Center for the Arts) গত ৫ই মে এই অভিজ্ঞতাটি হয়। ডুয়াইন জানান, “জীবন একটাই, আর আমি এই জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই।

আমার অনেক টাকা-পয়সা থাকুক বা না থাকুক, আমি সুখী হয়ে মরতে চাই।”

জিন সিমন্স, যিনি কিস (KISS) ব্যান্ডের অন্যতম প্রধান সদস্য, ভক্তদের এই অভিজ্ঞতা দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, “চাহিদা থাকলে জোগান আসবেই।

মানুষ যদি এই অভিজ্ঞতা চায়, তাহলে তারা কিনবে। যেমন, আপনি রোলস রয়েস (Rolls-Royce) কেনেন, কারণ আপনি চান, কিন্তু একটি ভক্সওয়াগেন (Volkswagen) আপনাকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে।”

অনুষ্ঠান শুরুর আগে, রোজাদো পরিবারকে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি ব্রিফিং দেওয়া হয়, যেখানে শিষ্টাচার সম্পর্কে বিশেষভাবে জানানো হয়েছিল।

কনসার্টের সময়, তাঁরা সিমন্সের সঙ্গে মঞ্চে যান এবং অনুষ্ঠান শেষে তাঁর ড্রেসিংরুমেও সময় কাটান।

ডুয়াইন বলেন, “আমার মনে হচ্ছিল, আমি যেন পুরো একটি জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, অথচ আমি শুধু তাকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলাম।”

ডুয়াইনের মতে, এই অভিজ্ঞতার জন্য এত টাকা খরচ করা “অবশ্যই” সার্থক হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “আজকের এই মুহূর্ত কিস-এর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, কারণ এটি ইউটিউবে (YouTube) দেখা যাবে এবং সবাই সবসময় এই মুহূর্তটি দেখতে পাবে।”

বস্তুত, মার্চ মাসেই সিমন্স তাঁর ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেছিলেন, ভক্তরা তাঁর “ব্যক্তিগত সহকারী ও ব্যান্ড রোড”-এর সুযোগ পেতে পারেন।

এই অফারে ছিল সিমন্স এবং তাঁর ব্যান্ডের সঙ্গে দেখা করা, মঞ্চ সাজানোতে সাহায্য করা, সাউন্ড চেক শোনা এবং ব্যাকস্টেজ-এ সময় কাটানোর সুযোগ।

পশ্চিমী বিশ্বে তারকাদের সঙ্গে ভক্তদের সাক্ষাৎ এবং তাদের বিশেষ অভিজ্ঞতা প্রদানের এই ধারণা বেশ পরিচিত।

আমাদের দেশেও বর্তমানে বিভিন্ন কনসার্ট ও অনুষ্ঠানে তারকাদের সঙ্গে ছবি তোলার এবং কিছু বিশেষ সুযোগ পাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।

ডুয়াইনের এই অভিজ্ঞতা একদিকে যেমন তাঁর ছেলেকে আনন্দ দিয়েছে, তেমনই একজন ভক্ত হিসেবে তাঁর ভালোবাসার গভীরতাও প্রকাশ করে।

শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও জীবনের প্রতি এমন ইতিবাচক মনোভাব সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *