যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার জবাবে মুখ খুলেছেন খ্যাতিমান অভিনেতা জর্জ ক্লুনি। ট্রাম্পের ‘মিথ্যাবাদী অভিনেতা’ মন্তব্যের প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপ করছেন না জানিয়ে ক্লুনি বলেছেন, নিজের কথা বলার অধিকারে তিনি বিশ্বাসী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস মর্নিংসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লুনি বলেন, “আমি বিষয়টিকে পাত্তা দিই না। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে খুশি করা আমার কাজ নয়। বরং যখন সুযোগ থাকে, তখন সত্য কথা বলার চেষ্টা করি। আমি জানি, এমনটা করলে অনেকে অসন্তুষ্ট হবেন।”
ক্লুনি আরও যোগ করেন, “অন্যেরা এতে সমালোচনা করবে। এমনকি, ইলন মাস্কও আমার বিষয়ে কথা বলেছেন।
তাদের এই অধিকার আছে। তেমনই, আমারও অন্য পক্ষকে কিছু বলার অধিকার রয়েছে।”
গত বছর, নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জো বাইডেনকে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার আহ্বান জানান ক্লুনি।
তিনি বলেছিলেন, বাইডেনের উচিত একজন তরুণ ডেমোক্রেটকে সুযোগ করে দেওয়া, যিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারেন।
ট্রাম্প এই প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্লুনির তীব্র সমালোচনা করে লেখেন, “মিথ্যাবাদী অভিনেতা জর্জ ক্লুনি, যিনি ভালো সিনেমা বানানোর ধারেকাছেও ছিলেন না, তিনিও এখন আলোচনায় আসছেন।
তিনি তাদের মতোই, জো বাইডেনের বিরুদ্ধে গিয়েছেন।”
অন্যদিকে, সিএনএন-এর সঙ্গে আলাপকালে ক্লুনি জানান, একজন বিকল্প প্রার্থীকে সমর্থন করা তাঁর নাগরিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, “আমি জানি না এটা সাহসী ছিল কিনা। তবে, এটা আমার নাগরিক দায়িত্ব ছিল। যখন দেখলাম আমার পথের মানুষগুলো সত্য কথা বলছে না, তখনই মনে হলো, কিছু করার সময় এসেছে।”
নিজের নিবন্ধের প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গে ক্লুনি বলেন, “মুক্ত মত প্রকাশের ধারণা হলো, আপনি চাইলেই বলতে পারবেন না, ‘আমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলবেন না’।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আপনি যদি কিছুতে বিশ্বাস করেন, তবে সেই অবস্থানে থাকুন এবং তার ফল ভোগ করুন। আমি এতে রাজি আছি, আমার অবস্থানের জন্য সমালোচিত হতেও রাজি। আমি তাদের সমালোচনা করার অধিকারকে যেমন সমর্থন করি, তেমনই নিজের সমালোচনারও জবাব দিতে প্রস্তুত।”
বর্তমানে, ক্লুনি ব্রডওয়েতে তাঁর ২০০৫ সালের চলচ্চিত্র ‘গুড নাইট, অ্যান্ড গুড লাক’ -এর মঞ্চনাটকে অভিনয় করছেন।
চলচ্চিত্রটি সাংবাদিক এডওয়ার্ড আর মুরো এবং সিনেটর জোসেফ ম্যাকার্থির মধ্যকার একটি ঘটনা নিয়ে তৈরি, যেখানে সোভিয়েতপন্থী সন্দেহে সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং চলচ্চিত্র জগতের অনেককে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান