সবার সবকিছুর জন্য জর্জ সোেরাসকে কেন দায়ী করা হয়?

শিরোনাম: জর্জ সরোস: আমেরিকার রক্ষণশীলদের সমালোচনার কেন্দ্রে

দীর্ঘদিন ধরেই জর্জ সরোস নামের একজন ব্যক্তির নাম প্রায়ই শোনা যায়, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিতে। তিনি একজন বিলিওনেয়ার, যিনি বিভিন্ন উদারনৈতিক এবং প্রগতিশীল কারণের সমর্থনে তাঁর অর্থ ব্যয় করেন।

তাঁর এই কার্যক্রমের কারণে, সরোস প্রায়ই বিতর্কিত হয়ে ওঠেন, এবং অনেক সময় তাঁকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কেন্দ্রে দেখা যায়। সম্প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সরোস এবং তাঁর ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস (Open Society Foundations) বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করে। এই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সময়ে অভিবাসন, সংখ্যালঘু অধিকার এবং ফৌজদারি বিচার সংস্কারের মতো বিষয়গুলোতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে।

কিন্তু তাঁর এই উদারনৈতিক কার্যক্রমের কারণে, সরোস ডানপন্থী রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের সমালোচনার শিকার হন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা প্রায়ই সরোসকে তাঁদের সমালোচনার প্রধান লক্ষ্যবস্তু বানান। তারা অভিযোগ করেন যে সরোস বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে অর্থ জোগান দেন এবং এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সরোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, এমনকি তিনি তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

সম্প্রতি, বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চার্লি কার্কের (Charlie Kirk) মৃত্যুর পর সরোসের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ উঠেছে। রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ জে ডি ভেন্স (J D Vance) এই ঘটনার জন্য সরোসকে দায়ী করেছেন।

তিনি দাবি করেন যে সরোসের অর্থায়নে পরিচালিত সংগঠনগুলো কার্কের সমালোচনামূলক নিবন্ধ তৈরি করেছে। যদিও এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস একটি অলাভজনক সংস্থা, যা বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান দেয়। তবে, এই ফাউন্ডেশন সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়।

ভেন্সের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায়, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস এক বিবৃতিতে কার্কের হত্যার নিন্দা করে এবং সব ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার বিরোধিতা করে। তারা আরও বলেছে যে তারা কোনো ব্যক্তিকে প্রতিবাদ করার জন্য অর্থ দেয় না।

সরোসের বিরুদ্ধে প্রায়ই “বৈশ্বিকতাবাদী” এবং “বহুজাতিক পুঁজিবাদের” সমর্থক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অনেক সময় তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগও ওঠে।

সমালোচকরা মনে করেন, সরোস বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং তাঁর কার্যক্রম সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

জর্জ সরোস একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর উদারনৈতিক কার্যক্রমের জন্য পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *