মেয়ের কলেজ পাশ: আবেগাপ্লুত আলি ও জর্জ, ভালোবাসায় ভাসছে কন্যা!

শীর্ষস্থানীয় মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব জর্জ স্টেফানোপাউলস এবং অভিনেত্রী আলি ওয়েন্টওয়ার্থ তাদের মেয়ে, এলিয়টের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়া উপলক্ষে আনন্দ উদযাপন করছেন। সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা তাদের মেয়ের এই সাফল্যে গর্ব প্রকাশ করেছেন।

জর্জ স্টেফানোপাউলস, যিনি ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ নামক জনপ্রিয় সকালের সংবাদ অনুষ্ঠানে একজন সুপরিচিত উপস্থাপক, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এলিয়টের স্নাতক হওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিতে, এলিয়টকে তার বাবা-মা’র সঙ্গে হাসিখুশি দেখা যাচ্ছে।

ছবিতে তিনি লিখেছেন, “আমাদের একটি কলেজ গ্র্যাজুয়েট হলো!!!” তিনি আরও লিখেছেন, “এলিয়টকে এবং ২০২৩ সালের সকল স্নাতক শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন। আমরা তোমাকে ভালোবাসি এবং তোমার জন্য গর্বিত, ই!”

আলি ওয়েন্টওয়ার্থ, যিনি ‘দ্য প্যারেন্ট টেস্ট’ এর মতো জনপ্রিয় টেলিভিশন শো-এর জন্য পরিচিত, তিনিও তার মেয়ের এই অসাধারণ অর্জনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি তার ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগপূর্ণ বার্তা পোস্ট করে লিখেছেন, “সে এটা করে দেখিয়েছে! একজন অসাধারণ মানুষের গ্র্যাজুয়েশন, যার বাবার মতো মস্তিষ্ক এবং আমার মতো পা রয়েছে।

যদি এর উল্টোটা হতো, তাহলে সে নিশ্চিত ধরা খেত।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা গর্বিত বাবা-মা! আমাদের সকল সন্তানের একটি ভালো শিক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে।”

এই দম্পতির এলিয়ট ছাড়াও ১৯ বছর বয়সী হার্পার নামে আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের দুই মেয়ের পড়াশোনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, আলি ওয়েন্টওয়ার্থ সম্প্রতি জানান যে, তারা এখন তাদের মেয়েদের কলেজে পাঠানো পর ‘ফাঁকা বাসা’র জীবন উপভোগ করছেন।

তিনি বলেন, “প্রথমে আমরা একটু হতাশ হয়েছিলাম, কিন্তু এখন এটা বেশ মজাদার।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা আবার নতুন করে ভালোবাসতে শুরু করেছি।

আমরা যখন বিয়ে করি, তার নয় মাসের মধ্যেই আমি গর্ভবতী হই। তাই, আমরা কখনোই সন্তান ছাড়া শুধু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জীবন কাটানোর সুযোগ পাইনি। তবে এখন আমরা এটা বেশ উপভোগ করছি।

এই দম্পতির জন্য, তাদের সন্তানদের নতুন জীবন শুরু করাটা একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তারা এখন তাদের নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর স্বাধীনতা খুঁজে পেয়েছেন।

তারা এখন একসাথে পছন্দের সিনেমা দেখতে পারেন, ইচ্ছামতো ডিনার করতে পারেন, এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে আরও উপভোগ করতে পারছেন।

এই ঘটনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের সমাজের অভিভাবকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এটি প্রমাণ করে যে, বাবা-মায়ের সমর্থন এবং উৎসাহ থাকলে, শিশুরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।

এলিয়টের এই সাফল্য শুধু তার নিজের জন্য নয়, বরং তার বাবা-মায়ের জন্যেও একটি বিশাল গর্বের বিষয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *