প্রায় উনিশ বছর আগের একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক মার্কিন ব্যক্তিকে।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের এই ঘটনায় ডরিস ওরেল নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী জন ওরেলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০০৬ সালে ডরিসের মৃত্যুর পর জন তাঁর পরিবারের এক ন্যানির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং কোস্টা রিকায় বসবাস করতে শুরু করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর ডরিস ওরেলকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার সময় জন ওরেল ব্যবসার কাজে বাইরে ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে এটিকে ডাকাতির ফল হিসেবে ধারণা করা হলেও, পরে সন্দেহের তীর জন ওরেলের দিকে যায়।
এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান এবং ন্যানির সঙ্গে কোস্টা রিকায় বসবাস করতে শুরু করেন।
তদন্তকারীরা জানান, সম্প্রতি তাঁদের হাতে আসে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
জানা যায়, ন্যানির সঙ্গে জনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে ফিরে আসেন।
এরপর তদন্তকারীরা কোস্টা রিকায় গিয়ে ন্যানির সঙ্গে কথা বলেন।
ন্যানি তাঁদের কাছে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন, যা আগের পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
কফি কাউন্টি শেরিফ অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার ১৯ বছর পর গত বৃহস্পতিবার জন ওরেলকে কফি কাউন্টি কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, তিনি মিসৌরিতে গ্রেপ্তার হন এবং জর্জিয়াতে প্রত্যর্পণ করতে রাজি হন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেসন সিক্রিস্ট জানান, ডরিসের মৃত্যুর সময় জন ওরেলের সঙ্গে ন্যানির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
তিনি আরও জানান, জন সম্ভবত ডিভোর্স হলে সন্তানদের অধিকার হারাবেন, এমনটা ভেবেই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
ডরিস ওরেলের বোন, লিয়ান টাগল, তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি তাঁর বোনের শিল্পীসত্তার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমার বোন খুব দয়ালু ছিল।
হয়তো তার এই ভালো মানুষীই কাল হয়েছিল।”
বর্তমানে কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে, কে ডরিসকে গুলি করেছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৭ বছর আগে আরও দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তবে প্রমাণের অভাবে সেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
তাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন, অন্যজন একটি ভিন্ন মামলায় জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
ন্যানিকে এখনো অভিযুক্ত করা হয়নি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন