চুল কাটল ছাত্রী, শিক্ষককে ভয়! ভয়াবহ অভিযোগ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ব্রান্ডন হিলকে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে, তিনি অন্তত দুইজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেছিলেন।

এর মধ্যে একজন ছাত্রী, শিক্ষকের এই ধরনের স্পর্শ এড়াতে চুলও কেটে ফেলেছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গ্রেসন এলাকার ট্রিপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ব্রান্ডন হিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মার্চ মাস জুড়ে বেশ কয়েকবার কয়েকজন শিক্ষার্থীর শরীরে হাত দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক নাকি শিশুদের চুপ থাকতে বলতেন এবং যখন তিনি তাদের স্পর্শ করতেন, তখন নাকি বলতেন এটা ‘নীরবতার সময়’।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এক ছাত্রী হিলকে এড়িয়ে যেতে নিজের চুল কেটে ফেলেছিল, যাতে শিক্ষক তাকে চিনতে না পারেন এবং তার কাছে না যান। অন্য একজন ছাত্রীও অভিযোগ করেছে, শিক্ষক তার চুল ও কাঁধে হাত বুলাতেন।

ছাত্রীটি বাধা দিলেও শিক্ষক নাকি তার আচরণ বন্ধ করেননি।

এই ঘটনার জেরে, ২৯ বছর বয়সী ব্রান্ডন হিলের বিরুদ্ধে গুরুতর শিশু নির্যাতন এবং সামান্য আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন আইনে, গুরুতর শিশু নির্যাতন একটি গুরুতর অপরাধ (ফেলোনি), যেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদণ্ডের মতো শাস্তি হতে পারে।

সামান্য আঘাত (মিসডেমেনার) এর ক্ষেত্রে সাধারণত জরিমানা বা স্বল্প মেয়াদে কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর, স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা ব্রান্ডন হিলকে তাৎক্ষণিকভাবে শ্রেণিকক্ষ থেকে সরিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে তাকে বিদ্যালয়ে আর আসতে দেওয়া হয়নি।

এছাড়া, অভিযুক্ত শিক্ষককে ৬,০০০ মার্কিন ডলার জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশী টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ৬ লক্ষ ৬১ হাজার টাকার সমান। বর্তমানে তিনি আদালতের শুনানির অপেক্ষায় আছেন।

শিশুদের নিরাপত্তা সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ঘটনার পর, স্থানীয় প্রশাসন শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

যদি কোনো শিশুর প্রতি নির্যাতনের সন্দেহ হয়, তবে সাহায্য চেয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *