জার্মানিতে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা, যা ফেডারেল অফিস ফর দ্য প্রোটেকশন অফ দ্য কনস্টিটিউশন (BfV) নামে পরিচিত, সম্প্রতি ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ (AfD) নামক একটি চরম-ডানপন্থী রাজনৈতিক দলকে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে সরকার দলটির উপর নজরদারি আরও বাড়াতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, তারা দলের সদস্যদের সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে এবং তাদের টেলিফোন ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরীক্ষণ করতে পারবে।
আফডি (AfD) দলটি জার্মানির রাজনীতিতে বেশ পরিচিত। তারা অভিবাসন নীতি এবং জাতিগত পরিচয় নিয়ে তাদের কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত।
গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই দলের কিছু নীতি জার্মানির গণতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিশেষ করে, তারা সমাজে কিছু গোষ্ঠীকে সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়, যা সংবিধানের পরিপন্থী।
এমনকী, তারা জার্মানির মুসলিম অভিবাসী বংশোদ্ভূত নাগরিকদের জার্মান নাগরিক হিসেবে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করতে নারাজ।
এই ঘোষণার কারণ হিসেবে জানা যায়, সম্প্রতি জার্মানির নির্বাচনে আফডি (AfD) দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, দলটির ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, খুব শীঘ্রই নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিশ মেয়ার্ৎস দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
এমতাবস্থায়, কিভাবে আফডি-র মতো একটি প্রভাবশালী দলের সঙ্গে কাজ করা যায়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ আফডি-র প্রতি জনসমর্থন আরও বাড়াতে পারে।
কারণ, দলটি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, তাদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও আফডি (AfD)-র যুব সংগঠনসহ দলের কিছু অংশকে এর আগেও চরমপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে এবার পুরো দলকেই এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বাংলাদেশেও কি এমন কোনো রাজনৈতিক দলের চরমপন্থী তকমা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
যদিও এই মুহূর্তে সেই বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শ, কার্যক্রম এবং দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের অঙ্গীকার সবসময়ই আলোচনার বিষয়।
তথ্যসূত্র: সিএনএন