জার্মান সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবেশে জার্মানির ‘না’

জার্মানিতে অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। দেশটির নতুন সরকার, চ্যান্সেলর ফ্রিয়েডরিশ মের্ৎস-এর নেতৃত্বে, সীমান্তে কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই লক্ষ্যে সীমান্তে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

জার্মানির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিংডট, যিনি মের্ৎসের রক্ষণশীল জোটের সদস্য, ২০১৫ সালের একটি পুরনো নির্দেশ বাতিল করেছেন। এই নির্দেশে কাগজপত্রবিহীন তৃতীয় দেশের নাগরিকদের জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

তবে বর্তমানে নতুন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে তাদের আর জার্মানিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

জানা গেছে, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে আরও প্রায় ৩,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। এর ফলে সীমান্ত পুলিশের সংখ্যা ১৪,০০০ জনে উন্নীত হবে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ইতোমধ্যে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তারা এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন।

জার্মানিতে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশটির প্রায় ২৫ লক্ষ শরণার্থী রয়েছে, যাদের মধ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি ইউক্রেন থেকে আসা।

সম্প্রতি অভিবাসন বিরোধী মনোভাব বাড়ছে এবং অনেক জার্মান নাগরিক এখন কম অভিবাসী গ্রহণের পক্ষে মত দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকার সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে অভিবাসন ইস্যুটি বেশ আলোচিত ছিল। কট্টর ডানপন্থী দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ (এএফডি) নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট লাভ করে।

বর্তমানে, সরকার সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রত্যাখ্যান, সিরিয়ায় ফেরত পাঠানো এবং পরিবার পুনর্মিলন স্থগিত করার মতো পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।

জার্মানির এই নতুন নীতি দেশটির শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। বিশেষ করে, যারা কাগজপত্রবিহীন অবস্থায় জার্মানিতে প্রবেশ করতে চাইছেন, তাদের জন্য এটি বেশ কঠিন হবে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *