জার্মানিতে একটি রাজনৈতিক দলের ‘চরমপন্থী’ তকমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি, জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও-র মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে।
রুবিও জার্মানির এই পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের পরিপন্থী হিসেবে অভিহিত করেছেন।
জার্মানিতে ‘অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড’ (এএফডি) নামক একটি রাজনৈতিক দলকে ‘চরম ডানপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন রুবিও। তার মতে, জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা এএফডি’র উপর নজরদারি চালানোর ক্ষমতা পাওয়াটা গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারিতার শামিল।
রুবিও আরও বলেন, জার্মানির উচিত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা।
মার্কিন সিনেটরের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা তাদের সংবিধান ও আইনের শাসন রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মতে, এটি গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, তারা তাদের ইতিহাসের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে এবং ডানপন্থী চরমপন্থাকে রুখতে বদ্ধপরিকর।
জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা, ফেডারেল অফিস ফর দ্য প্রোটেকশন অফ দ্য কনস্টিটিউশন (বিএফভি), এএফডিকে ‘চরম ডানপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিএফভি’র মতে, এএফডি’র কিছু নীতি জার্মানির গণতান্ত্রিক কাঠামোর পরিপন্থী। বিশেষ করে, তারা জার্মান পরিচিতির ক্ষেত্রে জাতিগত ধারণার উপর গুরুত্ব দেয়, যা সমাজের কিছু অংশকে সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।
বিএফভি আরও জানায়, এএফডি’র এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের কিছু গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে সহায়তা করে।
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে এএফডি প্রায় ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এই দলটির জনপ্রিয়তা লাভের পেছনে ইউরোপজুড়ে ডানপন্থী চরমপন্থার বিস্তার একটি বড় কারণ।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রেও এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রকাশ্যে নাৎসিবাদীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল, তবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সিনেটর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে এর মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান