জার্মানির নতুন সিদ্ধান্ত, ইউক্রেনকে সরবরাহ করা অস্ত্রের পাল্লা বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা আর থাকছে না। এর ফলে ইউক্রেন এখন রাশিয়ার সামরিক অবস্থানেও আঘাত হানতে পারবে।
সম্প্রতি জার্মানির নেতৃত্ব গ্রহণ করা ফ্রিডরিখ মের্জ এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে মের্জ জানান, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং আমেরিকার মতো মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করা অস্ত্রের ওপর থেকে দূরত্বের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। এর ফলে ইউক্রেন এখন রাশিয়ার অভ্যন্তরে থাকা সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালাতে পারবে।
মের্জ বলেন, আগে এমনটা সম্ভব ছিল না, তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।
জার্মান নেতা ডব্লিউডিআর পাবলিক টেলিভিশনের একটি ফোরামে দেওয়া ভাষণে এই কথা জানান। তিনি আরও যোগ করেন, এখন থেকে ইউক্রেন ‘লং-রেঞ্জ ফায়ার’-এর মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
মের্জের এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায়, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এটিকে ‘খুবই বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। পেসকভের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টার পরিপন্থী।
জার্মানি, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকার পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে জার্মানির পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি যে তারা ইউক্রেনকে ‘টরাস’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে কিনা।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল)। এর আগে, মের্জ বিরোধী দলের নেতা থাকাকালীন সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার পক্ষে ছিলেন। তবে বর্তমান সরকার সরবরাহ করা অস্ত্রের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চাইছে না, কারণ হিসেবে তারা ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ বজায় রাখার কথা উল্লেখ করেছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস