আতঙ্কে উপকূল! আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়, সোমবারের মধ্যেই!

আটলান্টিক মহাসাগরে একটি নতুন ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন যে এটি সোমবার বা মঙ্গলবার নাগাদ স্থলভাগে এসে পৌঁছাতে পারে।

এই ঘূর্ণিঝড়টি ‘ইমেল্ডা’ নামে পরিচিত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (National Hurricane Center) জানিয়েছে, বর্তমানে আটলান্টিকে ‘হিউবার্টো’ নামের একটি ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে। তবে নতুন এই ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে।

বর্তমানে এটি পুয়ের্তো রিকো, ভার্জিন আইল্যান্ডস এবং হিসপানিওলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, যার ফলে সেখানে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হবে।

এরপর উষ্ণ সমুদ্রের কারণে এটির শক্তি আরও বাড়তে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার বা শনিবারের মধ্যে এটি একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং পরবর্তীতে ‘ইমেল্ডা’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যদি পূর্বাভাস সত্যি হয়, তাহলে সোমবার বা মঙ্গলবার নাগাদ এটি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এক্ষেত্রে ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তবে হিউবার্টোর গতিপথ এবং জেট স্ট্রিমের পরিবর্তনের কারণে এর অভিমুখ পরিবর্তন হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা আরও জানিয়েছেন, হিউবার্টো সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি না হলেও, এর আকার এবং অবস্থান ইমেল্ডার গতিপথের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। দুর্বল এবং ধীরগতির একটি ঝড়কে হিউবার্টো হয়তো সাগরে নিয়ে যেতে পারে।

আবার শক্তিশালী ইমেল্ডা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এমনকি, দুটি ঘূর্ণিঝড় কাছাকাছি এলে ‘ফুজিয়ারা প্রভাব’-এর কারণে একে অপরের চারপাশে ঘুরতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের মানুষজন বিশেষ করে যারা উপকূলের কাছাকাছি বসবাস করেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে।

এমনকি সমুদ্রের ঢেউ অনেক বড় হওয়ার কারণে বিপদ আরও বাড়তে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ইমেল্ডার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সোমবার বা মঙ্গলবার নাগাদ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে বন্যা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা এবং তীব্রতা দুটোই বাড়ছে। তাই এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের সব দেশকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *